লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মৌলভীর হাট এলাকায় রাস্তা কাটাকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সদর উপজেলার মৌলভী হাটের নতুন মসজিদ এলাকায় আবদুল করিম মাঝি ও নুরুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সদর থানা পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আবদুল করিম মাঝির লোকজন মৌলভীরহাটের নতুন মসজিদ এলাকায় পানি চলাচলের জন্য গ্রামীন একটি রাস্তা কেটে দেয়। প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলামের লোকজন এতে বাঁধা দিলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রাজু, তোরাবগঞ্জ মাদ্রাসার ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আবদুল করিম মাঝির লোকজনকে মারধর করে।
পরে আবদুল করিম মাঝির লোকজন ওই চার ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে আটকে রাখে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্ধারের জন্য তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ রতন কমলনগর থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহত ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালালে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ কযেক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় কমলনগর থানার এএসআই কামরুল ইসলাম ও কনস্টেবল মাজাহারুল হক ও দেলোয়ার হোসেনসহ ৭ জন আহত হন। আহত সবাইকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।