রেকর্ড সৃষ্টি হয় ভাঙ্গার জন্য। সাত বছর ধরে হাবিবুল বাশার সুমনের যে রেকর্ডটি ছিল, শনিবার সেটি ভেঙ্গে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। বাশার ৫০ টেস্টে ৩০২৬ রান করলেও মাত্র ৪০ টেস্ট খেলে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের নতুন মালিক হয়েছেন তামিম।
তবে জাতীয় দলের এ বামহাতি ওপেনার বিশ্বাস করেন আরও অল্প সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলে রেকর্ডটি ভাঙ্গবেন মুমিনুল হক সৌরভ। টানা চারদিনই বৃষ্টি হওয়ায় নিষ্প্রাণ ড্রয়ের পথেই রয়েছে ফতুল্লা টেস্ট। শনিবার স্বাগতিক দর্শকদের একটাই চাওয়া ছিল মমিনুলের ফিফটি। শেষ পর্যন্ত এ রেকর্ডটি না হলেও টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের মালিক হয়েছেন তামিম।
ওয়ানডের পর টেস্টেও দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীতে পরিণত হন তামিম। শনিবার ব্যক্তিগত ১৯ রানের ইনিংসটি খেলার পথে তিনি সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনের তিন হাজার ২৬ রান টপকে যান। তবে এই রেকর্ডটাও যে খুব বেশি দিন স্থায়ী হবার নয় সেটা ভাল করেই জানেন তামিম।
আর তাই নিজেও চাইলেন সেটা যেন দ্রুতই ভাঙ্গা হয়। আর তার রেকর্ড ভাঙ্গার সম্ভাব্য ব্যাটসম্যান হিসেবেও সর্বাগ্রে মুমিনুলকেই এগিয়ে রাখলেন তামিম, ‘আমি মনে করি না যে রেকর্ডটা খুব বেশি দিন টিকবে। মুমিনুলের গড় দেখেন, ও যেভাবে রান করছে। আমি নিশ্চিত, আমি ৩০০০ হাজার রান যত ম্যাচে করেছি আমার চেয়ে সে কমপক্ষে ৫-৬ ম্যাচ কম খেলেই সেটা করে ফেলবে। আসলে ও যেভাবে খেলছে আমার কাছে মনে হয়; সে হোক, কিংবা হারও যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে, তাদের কেউ না কেউ এ রেকর্ড ভাঙ্গবে।’
তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিেেব সবার ওপেরে অবস্থান করছেন তামিম ইকবাল। তাই ওয়ানডে নাকি টেস্ট কোনটিকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখবেন এমন প্রশ্নে তামিমের ভাষ্য, ‘অবশ্যই টেস্ট ক্রিকেট। এটা কঠিন খেলা। টেস্ট খেলা যে কোন কন্ডিশনেই হোক না কেনো এটা কঠিন। এর জন্যই এর নাম টেস্ট দেওয়া হয়েছে। টেস্টের রানটাকেই তাই আমি এগিয়ে রাখব।’
তবে যার রেকর্ড ভেঙেছেন তামিম, সেই হাবিবুল বাশার মনে করেন টেস্টে দশ হাজার রান করার ক্ষমতা আছে তামিমের। এ বিষয়ে এ বামহাতি ওপেনার বলেন, ‘এটা করা কঠিন। কারণ আমরা গড়ে প্রতি বছর তিন-চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলি। সামনের দশ বছরে হয়তো আরও ৪০টি টেস্ট ম্যাচ খেলবো। যদি বছরে সাত-আটটি টেস্ট ম্যাচ খেলা যায় তাহলে দশ হাজার রান করা সম্ভব। তারপরও আমার ফর্ম ও ফিটনেসের উপরও বিষয়টি নির্ভও করবে। যেভাবে এখন আমরা টেস্ট খেলছি সেভাবে দশ হাজার রান করা সত্যিই কঠিন কাজ।’