বগুড়ায় সারিয়াকান্দি যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার ১৫টি গ্রামের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সারিয়াকান্দি এলাকায় বিপদ সীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যমুনা নদীতে। গত কয়েক দিনের অব্যাহত পানির চাপে নদীর পার ভাঙ্গতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সারিয়াকান্দি বন্দর রক্ষায় স্থাপন করা ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রোয়েন বাঁধের বেল মাউথের অংশ বিশেষ দেবে যায়। এরপর শুক্রবার বিকালে কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালী গ্রামের কাছে নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫০ মিটার ভেঙে যায়। নির্মাণাধীন ওই রিং বাঁধ ভাঙা অংশ দিয়ে যমুনা নদীর পানি জনপদে প্রবেশ করছে। উপজেলার গোদাখালী, হাওড়াখালী, দড়িপাড়া, পাইকরতলী, বুরুইল ও সাতভিটা গ্রামসহ প্রায় ১০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাঁধ ভাঙা আতঙ্কে লোকজন তাদের ঘরবাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বন্যার পানিতে ধুনটের চিকাশী, গজারিয়া, চুনিয়াপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ধুনট উপজেলায় কমপক্ষে এক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পনি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে।