‘সেক্স পার্টির’ জন্য যৌনকর্মী সরবরাহের অভিযোগে করা একটি মামলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক প্রধান দমিনিক স্ত্রস কানকে খালাস দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত।
শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রস কানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও যুক্তরাষ্ট্রে ‘সেক্স পার্টি’ আয়োজনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। রায়ে এই ১৪ জনকেই খালাস দেওয়া হয়।
স্ত্রস কান অবশ্য বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি- তিনি জানতেনই না যে, তার অংশ নেওয়া বিভিন্ন পার্টিতে উপস্থিত নারীদের মধ্যে যৌনকর্মীরাও ছিলেন।
রায়ে আদালতের প্রধান বিচারক বলেন, পার্টিতে অংশ নিয়ে স্ত্রস কান খদ্দেরের মতো আচরণ করেন। তবে যেসব যৌনকর্মীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের তিনি অর্থ দেননি। এসব পার্টিতে উপস্থিত থাকার জন্য অন্য কেউ ওই যৌনকর্মীদের অর্থ দিয়েছিল, যার উপকারভোগী ছিলেন তিনি (স্ত্রস কান)।
খালাস পাওয়া অন্যদের মধ্যে বেলজিয়ামের একটি পতিতালয়ের মালিক দমিনিক অ্যালডারউয়্যারেল্ডও রয়েছেন, যিনি ডোডো নামেও পরিচিত।
গত ফেব্রুয়ারিতে তিন সপ্তাহজুড়ে এই মামলার শুনানি চলাকালে যৌনকর্মীরা কয়েকটি পার্টিতে স্ত্রস কান তাদের সঙ্গে ‘রূঢ় আচরণ’ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন।
তবে সেসময় স্ত্রস কান বলেন, ‘অস্বাভাবিক আচরণের’ কারণে তিনি বিচারের মুখোমুখি হননি। তিনি আদালতকে বলেন, তিনি সেসব পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন, কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে তার কিছু ‘বিনোদনমূলক মুহূর্তের’ প্রয়োজন ছিল।
এর আগে রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটরও স্ত্রস কানকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন। এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, স্ত্রস কানের বিরুদ্ধে আনা ‘অপরাধমূলক অভিযোগ নিয়ে তারা কাজ করছেন, কোনো নৈতিক অভিযোগ নিয়ে নয়’।
প্রসিকিউটর আদালতকে আরও বলেন, মামলা তদন্তের কোনো পর্যায়েই স্ত্রস কানকে দোষী প্রমাণ করা যায়নি।
এর আগে ৬৬ বছর বয়সী স্ত্রস কানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।
এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রায় চার বছর ধরে চলা আইনী প্রক্রিয়া থেকে রেহাই পেলেন স্ত্রস কান। এর আগে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার একটি অভিযোগও আনা হয়েছিল। তবে ২০১২ সালে ও অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়।