ইঞ্জিনে আগুন ধরেছে এমন সংকেতের ভিত্তিতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান মেলবোর্নে জরুরি অবতরণ করেছে।
মেলবোর্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই মুখপাত্র জানান, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘এমএইচ-১৪৮’ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ২ টা ১৬ মিনিটে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে মেলবোর্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে। তবে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই বিমানটি মেলবোর্ন বিমানবন্দরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে। বিমানটিতে ৩০০ যাত্রী ও ক্রু ছিলেন।
এয়ারসার্ভিসেস অস্ট্রেলিয়া জানায়, বিমানটির ইঞ্জিনে আগুন ধরেছে- এয়ারক্রাফট সিস্টেম থেকে এমন সংকেত পেয়ে এটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তবে অবতরণের পর বিমানটির বাইরের অংশে আগুনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি অবতরণের পর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের প্রকৌশলী ও বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্টরা ‘এয়ারবাস ৩৩০’ পরীক্ষা করে দেখছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে বিমানটির বাইরের অংশে আগুনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে।
‘নিরাপত্তাই মালয়েশিয়ার এয়ারলাইন্সের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’- একথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এমএইচ-১৪৮ ফ্লাইটটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
মেলবোর্নের মেট্রোপলিটন দমকল বাহিনী জানায়, বেলা ২ টা ২২ মিনিটে তাদেরকে তলব করা হয়। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তারা।
এর আগে গত বছর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের দুটি বিমান বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়। এর মধ্যে গত বছরের মার্চে যাত্রী ও ক্রুসহ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় ফ্লাইট ‘এমএইচ-৩৭০’। এখন পর্যন্ত ওই ফ্লাইটের কোনো খোঁজ মেলেনি।
এছাড়া গত জুলাইয়ে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যাওয়ার পথে ইউক্রেনের আকাশসীমায় ভূমি থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘এমএইচ-১৭’। ওই ঘটনায় ২৮৩ যাত্রী ও ১৫ ক্রুসহ বিমানটিতে থাকা ২৯৮ জন আরোহীর সবাই মারা যায়।