বান্দরবানে আওয়ামী লীগের একাংশ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি মিছিলে শহরের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রোববার বিকেল ৫টায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. মজিবুর রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও যুবলীগ নেতারা।
সমাবেশে কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে কিছু দুষ্কৃতিকারী হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করেছে। ছাত্রলীগ বিশাল একটি সংগঠন, তাই নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এটি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু একটি গোষ্ঠী এ ঘটনাকে পুঁজি করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনাকে কেন্দ্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে মামলায় তাদের আসামি করা হয়নি।’
অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে পুরো বান্দরবান অচল করে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন মজিবর রহমান।
অন্যদিকে, একই সময়ে বাজেট অধিবেশনকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগ। বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজার মাঠ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রেসক্লাবে দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে মিছিলটি চৌধুরী মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুর রহমান রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক সুজন চৌধুরী সঞ্জয়, সহ-সভাপতি আব্দুল আল মামুন, কৃষকলীগের জেলা সভাপতি প্রজ্ঞাসা বড়ূয়া পাপনসহ ছাত্রলীগ নেতারা।
এদিকে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি মিছিলে শহরের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।