মুন্নি বেগম। বয়স ২৮ বছর। টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের সাফলকুড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। ২ বছর আগে একই উপজেলার ভাদুরীচর গ্রামের মুসা মিঞার ছেলে শহীদুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের আগ থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের আবুবকর সিদ্দিকীর ছেলে আবুল কাশেম ওরফে সোনা মিয়ার সঙ্গে। আর এ কারনেই বিয়ের পর থেকেই আবুল হোসেন-মুন্নির দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। ঝগড়া-বিবাদ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। ফলে তাদের দাম্পত্য জীবন বেশিদিন টেকেনি। পুরনো প্রেমিক আবুল কাশেম ওরফে সোনা মিয়ার কাছ থেকে বিয়ের প্রুতিশ্রুতি পেয়ে বছর খানেক আগে শহিদুলকে তালাক দেয় মুন্নি। অবস্থান করে বাপের বাড়িতেই। চালিয়ে যেতে থাকে পরকীয়া। রাতের আঁধারে মুন্নির কাছে নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকে সোনা মিয়া। কিন্তু তাদের এ গোপন মেলামেশা বেশিদিন ধামাচাপা পড়ে থাকেনি। গত সোমবার রাতে মুন্নি বেগমের বাড়ি ফাঁকা থাকায় প্রেমিক সোনা মিঞা গভীর রাতে মুন্নি বেগমের থাকার ঘরে ঢুকে। পরে আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ওই ঘরেই আটকে রাখা হয় তাদের। এর আগে কয়েক দফা লাঠি সোটা নিয়ে গিয়ে সোনা মিঞাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে তার আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের লোকজন। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এডভোকেট, গোবিন্দাসী ইউ.পি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমীনসহ এলাকার মাতব্বররা সালিশের মাধ্যমে এ ঘটনার মিমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু সোনা মিঞার পরিবারের লোকজন সালিশে রাজি না হওয়ায় মিমাংসায় ব্যর্থ হন তারা। পরে ওইদিন রাতেই মুন্নি বেগম বাদী হয়ে আবুল কাশেম ওরফে সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মুন্নির অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতেই পুলিশ সোনা মিঞাকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল জেলহাজতে প্রেরণ করে। এছাড়া বুধবার মুন্নির মেডিক্যাল শেষে তার অভিভাবকের কাছে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মুন্নি তার বাপের বাড়িতেই অবস্থান করছে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলুল কবির বলেন, মুন্নির অভিযোগের ভিত্তিতে আবুল কাশেম ওরফে সোনা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মুন্নির মেডিক্যাল শেষে তার অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
আতিক/প্রবাস