’যা কিছু ভারতের চাহিদা সেগুলোই প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশের অর্জন’

আনু মুহাম্মদ

ভারত নিয়ে প্রচার কীভাবে এতো সাজানো গোছানো সেটা ভেবেই অবাক হতে হয়। যা কিছু ভারতের চাহিদা সেগুলোই প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশের অর্জন বা সাফল্য হিসেবে। এর মধ্যে ট্রানজিট আছে, আছে টাটা-বিড়লা-আম্বানি-আদানি গ্রুপের বিনিয়োগ পরিকল্পনা, আছে সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্প। চালাকি করে ট্রানজিট শব্দ বাদ দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন চুক্তির মধ্য দিয়ে ট্রানজিট চুক্তির সবকিছু এগিয়ে গেছে। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রেল, সড়ক, সমুদ্রবন্দর সবকিছুর ওপর ভারতের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করবার ব্যবস্থা হলেও জনগণ তো দূরের কথা তথাকথিত সংসদসদস্যরাও এর বিস্তারিত জানেন না। এতে বাংলাদেশের কী লাভ কী ক্ষতি তা নিয়ে বিশ্লেষণ আলোচনা স্বচ্ছতা ছাড়াই হলো সবকিছু। অন্যদিকে তিস্তা চুক্তি নিয়ে শোরগোল এমন যে, মনে হয় ভারত রাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের আর কিছু চাইবার নাই। অথচ তিস্তা চুক্তি বলতে কী বোঝায়, চুক্তি স্বাক্ষর হলেই তা বাংলাদেশের পক্ষে যায় কিনা সে বিষয়ে মিডিয়ারও মনোযোগ খুবই কম। অভিন্ন সকল নদীর ওপর বাংলাদেশের অধিকার নিয়ে দুদদেশের আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই, কেননা ভারতের তাতে আগ্রহ নেই। কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে আছে বাংলাদেশ। তা নিয়েও সরকারের কোনো গ্লানি নেই, মিডিয়ারও নেই কোনো মাথাব্যথা। বাংলাদেশের পক্ষে দরকষাকষির সুযোগ কই, কে করবে? ভারত রাষ্ট্র আর তাদের কর্পোরেট প্রভুরা যা চায় তাতে আগেই কৃতার্থ তারা!

৪ thoughts on “’যা কিছু ভারতের চাহিদা সেগুলোই প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশের অর্জন’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *