চলে গেলো বাংলাদেশের ইতিহাসের এক ক্ষণজন্মা পুরুষের মৃত্যুর দিনটি। ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমানের ৩৪ তম শাহাদত বার্ষিকীর দিনটিকে সামনে রেখে অপেক্ষায় থাকলাম। যে মানুষটি আমৃত্যু জাতিকে এক মহান উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার নিরলস চেষ্টা করে গেছেন, যে ব্যক্তিটি একটি ভংকুর জাতিকে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মাথা উচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন সেই মানুষটি মৃত্যু বার্ষিকীকে ঘিরে এই বছর দেখলাম লাখো মানুষের ক্ষোভ, দু:খ আর কষ্টের ছবি। জেনারেল জিয়া বলতেই আমি সাচ্ছন্দ বোধ করি। কারণ এই জেনারেল শব্দটিই জাতিকে সাহস যুগিয়েছে নিজেদের হারাতে বসা অস্তিত্ব অনুভব করতে। আর হারানো সার্বভৌমত্ব উদ্ধারেও তারা খুজছে একজন জেনারেল জিয়াকেই।
জেনারেল জিয়াকে বিএনপি কিভাবে দেখলো বা আওয়ামী লীগ কিভাবে দেখল সেটি নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। কারণ দু’দলই নিজেদের স্বার্থে জেনারেল জিয়ার নামটি ব্যবহার করে। বিএনপি করে তাকে পুঁজি করতে আর আওয়ামী লীগ করে তাকে হেয় করে নিজেদের কাপুরুষতা ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কাজকে হালাল করতে। আমি জেনারেল জিয়াকে বাংলাদেশী জাতিস্বত্তার স্পন্দন থেকে তাকে মূল্যায়িত করতে চাই। আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করি না বা তাদের চলমান রাজনৈতিক কর্ম কৌশলকে সমর্থনও করতে পারি না নানান কারণে। সেটি আজকের বিষয় নয়। জেনারেল জিয়া জাতির প্রতিটি প্রয়োজনের মুহুর্তে কিভাবে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেটিই ইতিহাসের দেখার বিষয়। মরহুম জিয়ার কর্ম জাতির সামনে যেভাবে তুলে ধরার কথা, যেভাবে তার কাজগুলোকে আরো অনেক জিয়ার সৃষ্টির পথকে এগিয়ে নেয়ার কথা, সেটি কেবলমাত্র তার গড়ে তোলা দলের নেতৃত্বের কারণেই যে হয়নি সে ব্যাখ্যায়ও আমি যাব না। যদিও সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এক আলোচনা সভায় নির্দ্বিধায় বলে গেছেন। অনেকের আঁতে হয়তো ঘা লেগেছে কিন্তু সেটাই নির্মম সত্য।
জেনারেল জিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের অফিসিয়াল ঘোষণা দিয়েছিলেন; যদিও তার মেজর পদটিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জোকারেরা নানান কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগে ফিদেল ক্যাস্ট্রো বা চে-গুয়েভারা টাইপের এমন কোন নেতা ছিলেন না যাদের কথায় একটি সামরিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি অংশ এবং ইপিআর যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে এটিই ছিল সামরিক যুদ্ধের বাস্তবতা। রাজনৈতিকভাবে শেখ মুজিবর রহমান ও অন্যান্যরা পূর্ব বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে তার স্বাভাবিক গতির দিকে না নিয়ে এটিকে ভারতীয় আর্যদের বছরে জয়লাভের একটি যুদ্ধের দিকে নেয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন সেটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায়ই প্রমাণিত। কিন্তু ২৫ মার্চ থেকে সামরিক বাহিনীর লোকজনের যুদ্ধে জড়ানোর কারণে ভারতের ভবিষ্যত চক্রান্ত প্রথম থেকেই হোচট খায়। আর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ও ১৬ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর লোকজনের সাথে ভারতীয়দের যে সকল সংঘাত হয়েছিল এগুলো তারই প্রমান। অন্য একটি বড় প্রমান হলো ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের সময়কালে বাংলাদেশ পক্ষের কাউকে স্বাক্ষরকারী হিসেবে না রাখা। সংগত কারণেই মুজিববাদীদের এ নিয়ে কোন বক্তব্য নেই।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করলেও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই ভারতীয় আগ্রাসী নেতৃত্ব নেহেরু ডকট্রিন বাস্তবায়নের নিমিত্তে তাদের খেলা বজায় রাখে। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত ও উচ্চ মেধাসম্পন্ন অফিসার ও সেনাদের দাবিয়ে রাখার নিমিত্তে একদিকে চালু করে ”জাতীয় রক্ষিবাহিনী” নামের বশংবদ বাহিনী যাদের প্রধানতম কাজ ছিল ভারত বিরোধী প্রজন্মগুলোকে ধংস করে দেয়া; অন্যদিকে ঠিক একইভাবে জাসদ বানিয়ে তার গণবাহিনী ও ‘বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা’ দিয়ে একাধারে রাজনৈতিক প্রজন্মকে ও সেনাবাহিনীকে ধংস করার খেলা চালায়। কিন্তু আবার সামরিক বাহিনী তাদের ভূমিকায় নামে; ধংস হয় ভারতীয় দালালদের প্রথম স্তর। কিন্তু ভারতীয়দের বীজ থেকেই যায়। চূড়ান্ত পর্যায়ে সামনে এসে হাল ধরেন জেনারেল জিয়া। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের পরে জেনারেল জিয়া হাল না ধরলে আজকের বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভিন্ন চিত্র পাওয়া যেতো। আজ যে সকল বড় বড় জেনারেল নিজেদের ব্যাজ আর ষ্টার নিয়ে ঘুরে বেড়ান তাদের পয়দাও হতো না।
এরপর থেকে জেনারেল জিয়ার প্রথমতম ও প্রধান কাজ হয় বাংলাদেশকে একটি স্থায়ী ও দৃঢ় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় গড়ে তলার কাজ। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাথে তিনি গণসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে এরসাথে উৎপাদনকে সম্পৃক্ত করেন; যা ছিল যুগান্তকারী। তিনি সেনানিবাসের সংখ্যা বাড়ানোর সাথে বাড়ান সেনা সক্ষমতা, সংখ্যা ও সমরাস্ত্র। অক্সিলিয়ারী ফোর্স হিসেবে তৈরী করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। সাথে থাকে আর্মড পুলিশ ও ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর। ন্যশনাল ক্যাডেট কোর জিয়ার সময়েই বিপুল জনপ্রিয় হয় এবং বিপুল সংখ্যক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সেনা তত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নিতে থাকে। তিনি সমরাস্ত্র কারখানা গড়ে তোলেন, দেশে বন্ধু দুটি রাষ্ট্রের সহায়তায় পৃথিবীর সর্বাধুনিক ট্যাংক ও যুদ্ধ বিমান তৈরির প্রকল্পও হাতে নিয়েছিলেন।
এক সময় দেখা যায় প্রায় এক কোটির উপর মানুষের যুদ্ধের সময়ে অংশ নেয়ার মত মানসিকতা ও সক্ষমতা দাড়িয়ে যায়। এই মানুষগুলোই আবার খাল কাটা ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নেয়। খালকাটা শুধুমাত্র উৎপাদনেই সহায়ক ছিল না, এর ছিল সামরিক একটি দিক। সামরিক পরিবহন ও যোগাযোগের জন্য এই প্রকল্পটি যে কাজ করছিল সেটি ভারতকে ভাবিয়ে তোলে। আজ আর বলতে দ্বিধা নেই ভারতীয় সরকার ও তাদের ‘র’ যখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শান্তিবাহিনী, বঙ্গসেনা, কাদেরিয়া বাহিনী ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করে বাধ্য হয়ে জাতীয় স্বার্থে জেনারেল জিয়াও পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। একসময় দিল্লি এই পাল্টা ব্যবস্থার কাছে মানতে শুরু করে। জেনারেল জিয়া ভারতের অভ্যন্তরে পাল্টা গোয়েন্দা তত্পরতাও শুরু করেছিলেন। ভারত তখন তাকে হত্যার নীল নকশা প্রণয়ন করে। গড়ে তোলে জিয়া বিরোধী অনেকগুলো পকেট।
ভারতীয় বাঙালিরা পূর্ব বাংলার জনগনের সাথে নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক, এমনকি ধর্ম ও সভ্যতার দিক দিয়েও স্বতন্ত্র। যে কারণে জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের আলাদা জাতীয় পরিচয় নিশ্চিত করেছিলেন। নাম হয়েছে ”বাংলাদেশী”। এই কাজগুলো পুরোটাই ছিল নেহেরু ডকট্রিন বাস্তবায়নের পথে প্রধান অন্তরায়।
জেনারেল জিয়ার রয়েছে এক বর্নাঢ্য সামরিক জীবন। জেনারেল জিয়া ১৯৫৩ সালে কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হন। একজন সুদক্ষ প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো ছিলেন এবং স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে দুর্ধর্ষ সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত হন। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের ইউনিট দুটি সিতারা-ই-জুরাত এবং নয়টি তামঘা-ই-জুরাত মেডাল লাভ করে। ১৯৬৬ সালে মিলিটারি একাডেমিতে ইনস্ট্রাক্টর হন এবং সে বছরই কোয়েটার স্টাফ কলেজে কমান্ড কোর্সে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হয়ে জয়দেবপুরে সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হন। এডভান্সড মিলিটারি এন্ড কমান্ড ট্রেনিং কোর্সের জন্য তিনি জার্মানিতে এবং ব্রিটেনে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৭০ সালে মেজর হিসেবে চট্টগ্রামে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হন। এখান থেকেই তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে জাতীয় যুদ্ধের অফিসিয়াল পর্ব শুরু করেন। স্বাধীনতা লাভের পরে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার এবং ১৯৭২ সালের জুন মাসে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ-অফ-স্টাফ নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি তিনি ব্রিগেডিয়ার এবং ঐ বছরের শেষের দিকে মেজর জেনারেল এবং ১৯৭৫ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করে সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসর গ্রহণ করেন।
রাজনীতিতে তিনি সফলভাবে একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মেধাবী রাজনীতিকদের সমন্বয়ে ”বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি” গঠন করেন। দলের লোকজনকে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের জন্য রাজনৈতিক স্কুল গড়ে তোলেন। দেশব্যাপী চষে বেড়িয়েছেন মেধার সন্ধানে। তার সরকারের বিরুদ্ধে আজো দুর্নীতির কোন কালিমা নেই। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি একটি শক্তিশালী ও সফল বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন। কিন্তু তার দল পরবর্তিতে জিয়াউর রহমানের আদর্শকে কার্যকর হিসেবে লালন করতে ব্যর্থ হওয়ায় গড়ে ওঠে অনেক কোটারী স্বার্থের গ্রুপ। দলীয় নেতৃত্ব আজ সেই সকল কোটারী গ্রুপ তাদের বংশধর এবং ভারতীয় দালালদের পদভারে প্রকম্পিত। দলের ভেতরে কোন গণতান্ত্রিকতার চর্চা বা এর প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ বর্তমান সময়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। পুরনো যারা জিয়ার আদর্শের কথা বলে চিৎকার করেন তারা হয় দল থেকে বিতারিত না হয় কোনঠাসা। নাবালক আর টারজান টাইপের অজানা অচেনা লোকজনের হাতে বন্দী জেনারেল জিয়ার স্বপ্নের রাজনীতি আর দল। বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী জনগোষ্ঠী হাজার হাজার গুম খুনের শিকার হচ্ছে, বাংলাদেশের পুরো বাজার ভারতের দখলে, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ভারত ধংস করে দিয়েছে, বাংলাদেশের প্রশাসন, পুলিশ, বিচারবিভাগ, পররাষ্ট্র আজ ভারতের নিয়ন্ত্রণে, এমনকি বাংলাদেশের মানচিত্র ও ভূমির প্রতিটি ইঞ্চিও ভারতের কব্জায়। কিন্তু জেনারেল জিয়ার দল উচ্চ কন্ঠ হচ্ছে না।তারা ভারতের করুনার দিকে তাকিয়ে অপমানিত করছে শহীদ জেনারেল জিয়াকে প্রতিদিন। বাংলাদেশীরা বিমূড় বিস্ময়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকিয়ে হতাশার সাগরে নিমজ্জিত। জেনারেল জিয়ার রুহ ছটফট করছে। কিন্তু অল কোয়ায়েট ইন বিএনপি ফ্রন্ট।
জেনারেল জিয়া আজ ভারতীয় চক্রান্তে আওয়ামী জাতীয় শত্রুদের দ্বারা নির্বাসিত। বিএনপির নেতৃত্ব জিয়াকে তুলে ধরতে ব্যর্থ; এরপরেও বাংলাদেশী জাতি এখনো জেনারেল জিয়ার প্রেরনায় তাকিয়ে আছে মাথা উচু করে নেহেরু ডকট্রিন বাস্তবায়নে লিপ্ত ভারতীয় দালাল রাজনৈতিক নেতা ও শক্তিগুলোকে পরাভূত করে বাংলাদেশের হারানো স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করতে। জাতি তাকিয়ে আছে আর একজন জেনারেল জিয়ার অপেক্ষায়; হয়তো কোথায়ও না কোথায়ও বেড়ে উঠছে জেনারেল জিয়ার আদর্শের কোন ”জাতীয় বীর”। ভুলে গেলে চলবে না এ জাতি অনেক বীরের জন্ম দিয়েছে, শেরে বাংলা, মাওলানা ভাসানী, তিতুমীর, সিরাজ সিকদারসহ অনেক বীর, বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম; অবশ্যই এ জাতি জন্ম দিতে সক্ষম আরো একজন জেনারেল জিয়াকে যে জাতিকে উদ্ধার করবে আর্য ভারতীয় আগ্রাসন থেকে।
আতিক/প্রবাস
MD Alamin liked this on Facebook.
Masum Rana liked this on Facebook.
Mahbub Samol liked this on Facebook.
Mizan Ahmed liked this on Facebook.
Hossain Shahid Sarwardy liked this on Facebook.
Mizanur Rahaman liked this on Facebook.
Md Salahuddin Faisal liked this on Facebook.