ঢাকা: হেফাজত হলো দেশের ধর্মীয় উপদ্রব। তারা ধর্মের দোহাই দেয়, আসলে তারা ধর্মবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার এমপি কর্নেল (অব.) শওকত আলী।
শনিবার (৩০ মে) বিকেলে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘উগ্রধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোল’ শীর্ষক আলোচনা চক্রটির আয়োজন করে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শওকত আলী বলেন, হেফাজতে ইসলামকে যেভাবেই হোক দমন করতে হবে। তবে এ কথা সত্য যে হেফাজত নামক জীবরা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। পুরোপুরি নয়। এখনও তারা আছে। তবে থেমে আছে। এদের সঙ্গে আপোষ করে নিয়ন্ত্রণ হবে না। এখন যেটা চলছে সেটা যুদ্ধবিরতি।
‘যে কোনোভাবেই হোক জঙ্গিবাদি ও সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠীকে দমন করতে হবে’- বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতা বলেন, দুই-চারজন আইএস ধরে মনে করলে চলবে না যে এখন অবস্থা নিয়ন্ত্রণে। যে দেশ থেকে এদের উৎপত্তি সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ না হলে বাংলাদেশের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হবে। তবে বসে থাকলে চলবে না। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও আরও তৎপর হয়ে এ বিষয়গুলো মোকাবিলা করতে হবে।
আলোচনা চক্রে বক্তারা অবিলম্বে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং তাদের অর্থের সব উৎস বাজেয়াপ্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি জঙ্গিবাদীদের রুখতে সারাদেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের সভাপতি অজয় রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারেক, ডা. সারওয়ার আলী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস.এম.মাসুম বিল্লাহ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
এৱা সবাই হিন্দুৱ জাত তাদেৱকে ইন্ডিয়া পাটাও
MD Kamrul liked this on Facebook.