ঢাকা: স্থল সীমান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে সম্মত হলেও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকা আসছেন না ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সফর সূচি অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা আসছেন ৬ জুন। মমতা আসছেন ঠিক তার একদিন আগে ৫ জুন।
আবার মোদির যাওয়ার কথা রয়েছে ৭ জুন। আর মমতা চলে যাবেন ৬ জুন।
কেন এমন শিডিউল তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে কূটনৈতিক অঙ্গনে। কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকা এক প্রতিবেদনে নবান্নে সূত্রের বরাত দিয়ে লিখেছে, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পড়তে চান না মমতা। তাই এমন সফরসূচি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল পর্যন্ত সফর সূচির যে পরিকল্পনা তাতে মমতা স্থল সীমান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
স্থল সীমান্ত নিয়ে গত ৪ দশকের চলা সঙ্কট সমাধানে একমত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ভারতের পার্লামেন্টে সর্ব সম্মতভাবে স্থল সীমান্ত বিল অনুমোদন করা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে, সফর সূচিতে আর যদি কোনো পরিবর্তন না ঘটে তা হলে ৫ জুন সন্ধ্যায় ঢাকা আসবেন মমতা। আর ৩৬ ঘণ্টার সফরে মোদি ঢাকা আসবেন পরের দিন ৬ জুন। ওই দিনই ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি সাক্ষরের কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই উড়াল দেবেন মমতা।
স্থল সীমান্ত চুক্তি ছাড়াও আরো কয়েকটি অনুষ্ঠানে মমতার থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেসব অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন না বলে জানা গেছে।
নবান্নের সূত্রে জানা গেছে, নরেন্দ্র সফর সঙ্গী হিসেবে মমতা আমন্ত্রিত হলেও তিনি মোদির সঙ্গে আসছেন না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ৭ জুন আলোচনা হতে পারে। এ নিয়ে মমতাকে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তাই তিনি আগেই চলে যেতে চান।
তবে মোদির সফরে তিস্তা চুক্তি আদৌ হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে মমতার ঘোরতর আপত্তি রয়েছে।
সফর সূচি অনুযায়ী মমত সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে নিয়ে আলাদা ভাবে ঢাকা আসবেন। এতে তার মুখ্য সচিবও থাকছেন। তার পছন্দের অনুষ্ঠানে তিনি যাতে যোগ দিতে পারেন সে কারণেই তার এভাবে আসা। তিনি যদি নরেন্দ্র মোদরি সফরসঙ্গী হন তাহলে নিজের ইচ্ছে মতো অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া তার জন্য সহজ হবে না- বলেন ওই কর্মকর্তা।
Amir Khan Amir liked this on Facebook.
Shafirul Islam liked this on Facebook.
MD Ziaul Hasan liked this on Facebook.
Ahamed Alam liked this on Facebook.