‘গরম ভাত খাইয়ে মেয়েকে সকাল বেলা আমপাড়া (কিতাব) পড়তে মসজিদে পাঠাইছিলাম। ঘণ্টাখানেক পড়েই চইলা আসার কথা। কিন্তু কেন জানি আজ মেয়েটা দেরি করছিল। তাই এগিয়ে যাই মসজিদের কাছে। গিয়ে দেখি মেয়েডা কান্না করছে। জিজ্ঞাসা করলাম কী হইছে মা? কান্না করো কেন? আমারে দেইখা অমনি মাটিতে গড়িয়ে পড়লো। এরপর ওরে তুইলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। দেখি, মেয়ের নিচের জায়গায় রক্ত পড়ছে। জ্ঞান ফিরলে সব খুইলা বলে মেয়ে।’
কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের মেয়ের কথা বলছিলেন তার মা। কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন, ‘আমার অবুঝ মেয়েটির এমন সর্বনাশ মসজিদের ইমাম হয়ে কেমনে করলো?
সোমবার সকালে শিশু ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার উত্তর মুমুরদিয়া গ্রামে।
বাড়ির পাশে বাজার মসজিদে পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। সে মুমুরদিয়া গ্রামের দিনমজুর নবী হোসেনের মেয়ে। হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সে। আর বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছে।
এক পর্যায়ে শিশুটি জানায়, সকালে সবার সঙ্গে মক্তবে পড়ার পর হুজুর তাকে বসতে বলেন। এরপর মোজো খাওয়ার জন্য ২০ টাকা হাতে দেন। এরপর সবাইকে বের করে দিয়ে হুজুর তাকে…. এ পর্যন্ত বলেই কাঁদতে থাকে শিশুটি।
এদিকে, ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ করেন শিশুর মা। তিনি বলেন, পরিবারের লোকজনের সহায়তায় লম্পট ইমাম জয়নাল আবেদিনকে (৩২) আটক করে ঘরে তালা মেরে রাখি। খরব পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষক জয়নাল আবেদিনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
Md Azizul liked this on Facebook.
Md Nirob Hossen Riaz liked this on Facebook.
Mustak Ahmed Mamun liked this on Facebook.