প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক কিছুই সম্ভব। চালকবিহীন গাড়ির কথা গুগল ঘোষণা দিয়েছে বহু আগেই। এরইমধ্যে বেশ কয়েকবার এই গাড়িকে পর্যবেক্ষণের জন্য রাস্তায় নামানোও হয়েছে। মাস দুয়েকের মধ্যেই এই চালকবিহীন গাড়িটি চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য নামতে যাচ্ছে রাস্তায়। তারা জানায়, এবারের পর্যবেক্ষণের পর আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না, পাশাপাশি পুরোপুরি বাজারে উন্মুক্ত করার জন্যও এরইমধ্যে প্রস্তুত এই চালকবিহীন গাড়িটি।
এর আগের পর্যবেক্ষণে গুগলের এই চালকবিহীন গাড়ি একাধিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। তবে এসব দুর্ঘটনা নিয়ে গুগলের দাবি অন্য গাড়ির ভুলেই গুগলের চালকবিহীন গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। আর তাই এসব দুর্ঘটনা এড়াতে তারা আগের পরিকল্পনা থেকে খানিকটা সরে এসেছে। এই চালকবিহীন গাড়িতে যুক্ত হচ্ছে স্টিয়ারিং, অ্যাক্সেলেটর প্যাডেল ও ব্রেক প্যাডেল। যদিও আগের পরিকল্পনায় এসব যুক্ত থাকার কোনো কথা ছিল না। দুর্ঘটনা এড়াতেই এসব যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় গুগল কর্তৃপক্ষ। তবে এসব যন্ত্রাংশ পুরোপুরিই পোর্টেবল। ইচ্ছে হলেই খুলে রাখা যাবে যখন-তখন। গুগল এরইমধ্যে ২৫টি মডেলের চালকবিহীন গাড়ি তৈরি করে। তবে সবকটির মধ্যেই গুগল লেক্সাস আরএইচ৪৫ওএইচ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুগলের এই গাড়িটি এরইমধ্যে গেল মাসে এক সপ্তাহে ১০ হাজার মাইল চলে বলে জানায় গুগল কর্তৃপক্ষ। এই ১০ হাজার মাইল রাস্তা পরিক্রম করতে গিয়েই বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয় গাড়িটি। তাই যুক্ত করা হয় নতুন সব ম্যানুয়াল ও পোর্টেবল যন্ত্রাংশ। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গাড়িটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে নামতে চলেছে রাস্তায়। ২জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে গাড়িটি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে। উল্লেখ্য, আগের দুর্ঘটনাগুলোতে গুগলের এই চালকবিহীন গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অন্যান্য গাড়ি এবং এই দুর্ঘটনা ঘটে ট্রাফিক লাইটের কারণেই। আর এসব দুর্ঘটনার কোনোটিতেই যাত্রীরা আঘাত পাননি। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার জনবহুল রাস্তায় ১১ বার দুর্ঘটনার শিকার হয় এই গাড়িটি।
One thought on “উন্মুক্ত হচ্ছে গুগলের চালকবিহীন গাড়ি”