দলের প্রতি আনুগত্যশীল, আন্দোলনের মাঠে সক্রিয়, মেধাবী, তৃণমূলে গ্রহণ যোগ্যতা আছে, ত্যাগী ও তরুণদের টার্গেট করে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির পূণর্গঠন চলছে বেশ জোরেশোরেই। এ ব্যাপারে দলের দুই শীর্ষ ব্যক্তিত্ব চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বলেও দলের হাইকমান্ড সূত্রে জানা গেছে।
দলের ‘চেইন অব কমান্ড’ ফিরিয়ে আনা এবং সাংগঠনিকভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতেই এ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়েই এখন চলছে তোড়জোড়। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বিশেষের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দেবে না দলটির হাইকমান্ড।
সম্প্রতি অনেকটা হঠাৎ করেই দলের চেয়ারপারসন কর্তৃক দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে (ঢাকা বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ এবং সহ-দফতর সম্পাদক হিসেবে তাইফুল ইসলাম টিপুকে মনোনীত করাই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন তৃণমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমানও দল পুনগর্ঠন প্রক্রিয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ইতিমধ্যে দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে নিশ্চিত করে বলেন, শিগগিরই তা বড় পরিসরে দেখা যাবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের চেতনায় সামনের দিনে চ্যালেঞ্জ নিতে পারে এমনদেরই দায়িত্ব দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, এবার কোনো ব্যক্তির পছন্দের কমিটি হবে না। এমনকি ‘পকেট কমিটি’ গঠন করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বিশ্বাস করেন খালেদা জিয়া দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার কাজে শেষ পর্যন্ত নিজের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবেন। আর এতে আগামী দিনে দলের সঠিক নেতৃত্ব বের করতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
দলের পুনর্গঠন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে শরীক হওয়া এবং দলের আদর্শের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ সেই সব ত্যাগী নেতাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এবার নেতৃত্ব নির্বাচনে চমক দেখা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দলের অন্যান্য নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন চাঙা রাখতে হলে আগামীতে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতৃত্ব নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়া দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে (ঢাকা বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ এবং সহ-দফতর সম্পাদক হিসেবে তাইফুল ইসলাম টিপুকে মনোনীত করার সিদ্ধান্তকে দলের অধিকাংশ নেতাই স্বাগত জানিয়েছে। তাদের প্রত্যাশা দলের চেয়ারপারসন কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে দল পুনর্গঠন করেন। আর এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে তৃণমূলের পাশাপাশি উপকৃত হবে কেন্দ্রও।
আতিক/প্রবাস
Mahbub Samol liked this on Facebook.
মোহাম্মদ হাছান liked this on Facebook.
Md Manik Howladar liked this on Facebook.
Mizanur Rahaman liked this on Facebook.
MD Razak liked this on Facebook.