বার বার তাগাদা দেয়ার পরও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখাল পাড়ার সংসদ সদস্য ভবনের (ন্যাম ফ্ল্যাট) ফ্ল্যাট ছাড়েননি চার মন্ত্রী। এ পেক্ষিতে ফ্লাট ছাড়ার জন্য তাদেরকে আবারো চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে।
কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুস শহীদ, মাহবুব আরা বেগম গিনি, পঞ্চানন বিশ্বাস, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আসলামুল হক এবং নাজমুল হক প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
ফ্ল্যাট না ছাড়া চার মন্ত্রী হলেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, মৎস ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।
কমিটির দাবি, মন্ত্রী হওয়ার পরেও সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নাখালপাড়া ১ নম্বর ভবনের ১০৪ নম্বর ফ্ল্যাট, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ৪ নম্বর ভবনের ৪০৪ নম্বর ফ্ল্যাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ৪ নম্বর ভবনের ১০২ নম্বর ফ্ল্যাট এবং ভুমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ৪ নম্বর ভবনের ৪০৩ নম্বর ফ্ল্যাট এখনো তাদের দখলে রেখেছেন।
সর্বশেষ গত ৬ মে এই চার মন্ত্রীকে ফ্ল্যাট ছাড়ার চিঠি দেয় সংসদ কমিটি। কিন্তু বিষয়টি আমলে না নেয়ায় তাদের আবারো চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখাল পাড়ার সংসদ সদস্য ভবনে মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া সংসদ সদস্যদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ কমিটি। সে অনুযায়ী নবম সংসদে ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাওয়া সাত জনকে (যারা দশম সংসদ নির্বাচনের পরে মন্ত্রীর দায়িত্ব পান) ছেড়ে দিতে একাধিকবার তাগাদা দেয় তারা। ওই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন কোনো সংসদ সদস্য যদি ন্যাম ফ্ল্যাটে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তবে তাকে সরকার থেকে পাওয়া বাড়ি-ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সংসদ সচিবালয়ের জমা দিতে হবে।
কমিটির এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ফ্ল্যাট ছাড়েননি চার মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর তাদেরকে আবারো ফ্ল্যাট ছাড়তে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আবারো চিঠি দিতে বলেছি। প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু সমস্যা আছে। কারও এখনও বাসায় মালপত্র আছে। কারও ফ্যামিলি মেম্বার বেশি। কমিটি আবারো তাগিদ দিয়েছে।
এদিকে বৈঠকে আবাসিক এলাকার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে মাননীয় সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিলিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে আ স ম ফিরোজ জানান, ড্রাইভার বা বাসার কাজের লোক ভবনের আশেপাশে কাগজ বা অন্য কিছু ফেলে নোংরা করে। এগুলো সংসদ সদস্য খেয়াল করতে হবে। এজন্য কাউন্সিলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে