ঢাকা: পাঁচ দিন অপেক্ষার পর রোববার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ভারতীয় ভিসা পেয়েছেন হাসিনা আহমেদ। ভিসা পাওয়ায় রাতেই শিলং সিভিক হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। সেখানে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন স্বামী সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
পারিবারিক সূত্রমতে, রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন থেকে ভিজিট ভিসা পেয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
ভিসা পাওয়ার পরপরই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। রাত সাড়ে ৯টায় এয়ার ইন্ডিয়ার ২২৯ ফ্লাইটে উঠবেন হাসিনা। আকাশ পথে কলকাতায় পৌঁছানোর পর সেখান থেকে শিলং যাবেন হাসিনা আহমেদ।
এদিকে ভারতের শিলং সিভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের ‘স্মৃতিভ্রম’ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানে অবস্থারত দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি।
রোববার (১৭ মে) স্থানীয় সাংবাদিকদের জনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ কিছু মনে করতে পারছেন না। মনে হচ্ছে তার কিছুটা স্মৃতিভ্রম হয়েছে।
জনি বলেন, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিকভাবে সুস্থ আছেন, কিন্তু আমরা তার মধ্যে সে ধরনের লক্ষণ দেখিনি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় শিলং পৌছেছেন তাবিথ আউয়াল। এর আগে রোববার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে কলকাতা পৌঁছান তিনি।সেখান থেকে আকাশ, রেল ও সড়ক পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মেঘালয়ের শিলংয়ে পৌঁছান তাবিথ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাবিথ আউয়ালের একজন আইনজীবী রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বাংলানিউজকে বলেন, তাবিথ আউয়াল শিলংয়ে পৌঁছেছেন। এর পরের খবর আপাতত আমাদের কাছে নেই।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনির পর তাবিথ আউয়াল দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি ঢাকা থেকে শিলংয়ে গেলেন। এর আগে আরো কয়েকজনের কথা শোনা গেলেও তারা সালাহউদ্দিনের পারিবারিক আত্মীয়।এদের দলীয় কোনো পরিচয় নেই।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় তাবিথ আউয়াল শিলংয়ে পৌঁছুলেও সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখার করার সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। পুলিশ হেফজাজতে শিলং সিভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে সোমবার পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে।
অনির্দিষ্টকালের অবরোধের মধ্যে গত ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এর ২ মাস ২ দিন পর গত মঙ্গলবার (১২ মে) মেঘালয় মেন্টাল ইনস্টিটিউশন হাসপাতাল (মিমহ্যানস)থেকে স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি বেঁচে আছেন।
শিলং পুলিশের বক্তব্য, গত সোমবার (১১ মে) শিলংয়ের গলফ গ্রিন এলাকায় উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখে সালাহ উদ্দিনকে আটক করা হয়। এর পর তার (সালাহ উদ্দিনের) অসংলগ্ন কথা-বর্তায় সন্দেহ হলে মিমহ্যানসে ভর্তি করা হয়।
পরে অবশ্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ সহকর্মী আব্দুল লতিফ জনিকে বলেছেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিজেই পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন।
Mohammad Jabed liked this on Facebook.
Mizanur Rahaman liked this on Facebook.
Faruk Mb liked this on Facebook.
Mukter Hossan liked this on Facebook.
Rashel Hossain liked this on Facebook.