স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ

পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রতিবেশী বখাটে যুবক হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেছে। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বুধবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বুধবার দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বেরুবন্দ চেংমারী এলাকায় এ ঘটনা

স্থানীয় সূত্র জানায়, ক্ষেতমজুর জালামুদ্দীনের মেয়ে ও দক্ষিণ বেরুবন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রতিবেশী মৃত আজিজুল হকের ছেলে সেলিম (২১) বুধবার দুপুরে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় তাকে সহায়তা করে একই এলাকার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে সফিয়ার রহমান (৩৫)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি জানান, তার বাবা একজন ক্ষেত মজুর। জীবিকার তাগিদে তিনি কুমিল্লায় কাজে গেছেন। মা পাড়ার এক বাড়িতে গৃহস্থালীর কাজে ছিলেন। চার বোনের মধ্যে দু’বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। সে তৃতীয়। ছোট বোন বেড়াতে গেছে দুলাভাই’র বাড়িতে। বুধবার দুপুরে সে ঘর মোছার কাজ করছিল। এ সময় সেলিম ও সফিয়ার বাড়িতে আসে। তাকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসছে জেনে তারা পালিয়ে যায়।

পরে তার মাসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। এসময় বখাটের পাষবিক নির্যাতনে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে জলঢাকা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দীন শেখ জানান, শিমুলবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা শুনেছি। তবে এ পর্যন্ত থানায় মামলা করতে কেউ আসেনি

One thought on “স্কুলছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *