‘বেঁচে আছি, সবাইকে জানিয়ে দাও’

ঢাকা: ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি মানসিক হাসপাতাল থেকে ফোনে নিজের বেঁচে থাকার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ‘নিখোঁজ’ যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।

‘নিখোঁজ’ হওয়ার ২ মাস ২ দিন পর মঙ্গলবার (১২ মে) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকায় অবস্থানরত স্ত্রী হাসিনা আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

দুপুর আড়াইটার দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদের গুলশানের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী হাসিনা আহমেদ জানান, মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের পাঁচতেউর হিলসের মিমহানস মেন্টাল হসপিটাল কর্তৃপক্ষ তাকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘আপনার স্বামী কথা বলতে চান’।

পরে সালাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি, সুস্থ আছি, তুমি সবাইকে জানিয়ে দাও’-বলেন হাসিনা আহমেদ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব আমি শিলংয়ে যাবো। আমার স্বামীকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করবো। এ জন্য ভিসা প্রসেসিংসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

গণমাধ্যম ও দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হাসিনা বলেন, আমার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে গণমাধ্যম সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছে, দেশবাসী দোয়া করেছে। এজন্য দেশবাসী ও গণমাধ্যমের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এদিকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফোনে সালাহউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার পর পরই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ফিরোজা’য় যান হাসিনা আহমেদ। প্রায় ঘণ্টাখানেক সেখানে অবস্থান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্বামী বেঁচে আছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ১০ মিনিটের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবো।

‘ফিরোজা’ থেকে নিজে নিজের বাসায় ফেরার পৌনে ১ ঘণ্টা পর দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন করেন হাসিনা আহমেদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি।

দুই থেকে তিন মিনিট স্থায়ী সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন কোনো প্রশ্ন না করার জন্য। সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন শেষে দ্রুত নিজের ফ্লাটে চলে যান।

সংবাদ সম্মেলনের আগে মিডিয়াতে সালাহউদ্দিন আহমেদের খোঁজ পাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ফোন রিসিভ করা থেকে বিরত থাকেন হাসিনা আহমেদ। এরপর ফোন বন্ধ করে দেন তিনি।

টানা অবরোধ কর্মসূচির ৬৪ দিনের মাথায় গত ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসা থেকে ‘নিখোঁজ’ হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই বাসা থেকেই দাফতরিক দায়িত্ব পালন করতেন তিনি।

তার নামে পাঠানো বিবৃতির মাধ্যমেই টানা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে দফায় দফায় হরতাল কর্মসূচি ও দলীয় অবস্থান গণমাধ্যমে পাঠাতো বিএনপি।

নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই খালেদা জিয়া অভিযোগ করে আসছিলেন, এলিটফোর্স র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে গেছে।

তবে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেননি সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।

১৪ thoughts on “‘বেঁচে আছি, সবাইকে জানিয়ে দাও’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *