তিন মাসে বঙ্গোপসাগর দিয়ে ২৫ হাজার মানুষ পাচার

ঢাকা: গত তিন মাসে বঙ্গোপসাগর দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে পাচার করেছে মানবপাচারকারীরা। গত বছর ঠিক একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুন। শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র আদ্রিয়ান এডওয়ার্ড বলেন, ‘উদ্ধারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আমাদের অনুমান ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে অনাহার,পানিশূণ্যতা ও নৌকার চালকদের নির্যাতনের কারণে সাগরে তিনশজনের মৃত্যু হয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তারা পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকশ অভিবাসীর সঙ্গে আলাপ করেছেন। পাচারকারীরা কিভাবে তাদের প্রলুব্ধ করেছিল তার বিবরণ দিয়েছেন এসব অভিবাসী। পাচারকারীরা খুব কম খরচে তাদের সমুদ্রপথে মালেয়শিয়া যাওয়ার প্রলোভণ দেখায়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে কোন টাকাও নেয়া হয় না। মালেয়শিয়ায় তাদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় এবং চাকরির টাকা দিয়ে পরে বিদেশ যাওয়ার টাকা পরিশোধ করতে পারবে এ ধরণের প্রলোভনও দেখানো হয়। নৌকায় ওঠার পর অনেকে ফিরে যেতে চাইলে তাদের জোর করে আটকে রাখা হয়।

যেসব ক্যাম্পে মানবপাচারকারীরা অভিবাসীদের আটকে রাখে সেগুলির অবস্থাও ভয়ঙ্কর। স্বজনরা মুক্তিপণের টাকা দেয়ার আগ পর্যন্ত তাদের আটক ও নির্যাতন করা হয়। শিবিরে আটক অভিবাসীদের পেটানো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এমনকি নারী অভিবাসীদের ধর্ষণও করা হয়। যারা পালানোর চেষ্টা করে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের সঙ্খলা প্রদেশের একটি জঙ্গলে দুটি অভিবাসী নির্যাতন শিবিরে ৩২টি কবরের সন্ধান পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *