৩ বছর পর বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার

ঢাকা: ইয়াবার অনুপ্রবেশ বা পাচার ঠেকাতে তিন বছর পরে ঢাকায় দুইদিনব্যাপী দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা তৈরির ল্যাবরেটরির তালিকা দেয়া হবে মায়ানমারকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সূত্রে জানা গেছে, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা অনুপ্রবেশ রোধে ঢাকার প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দুইদিনব্যাপী বৈঠক বসছে মঙ্গলবার থেকে। সকাল ১০টায় বৈঠক শুরু হবে। এটি হচ্ছে দুই দেশের দ্বিতীয় বৈঠক। বৈঠকে দেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বজলুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্য এবং মিয়ানারের কেন্দ্রীয় মাদকদ্রব্য নির্মূল কমিটির প্রধান পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কোয়ে উইনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের দল অংশ নিবেন।

ডিএনসির সহকারী পরিচালক মানজুরুল ইসলাম জানান, ইয়াবার বর্তমান পরিস্থিতিতে দু’দেশের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার ও সাইকোট্রোপিক সাবস্ট্যান্স অনুপ্রবেশ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমার অংশে ইয়াবা তৈরির ল্যাবরেটরি, মাদক সংক্রান্ত তথ্য ও পারস্পারিক সহযোগিতা বিনিময়সহ মাদক সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশর তরফ থেকে ওই ইয়াবা তৈরির ল্যাবরেটরী একটি তালিকা হস্তান্তর করা হবে। ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলেও আশা করেন তিনি।

সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে মাদকদ্রব্যের অবৈধ ব্যবহার ও এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন-বিধির তথ্যের বিনিময়, মাদকপাচার রোধ, মাদক থেকে অর্জিত অর্থের পাচার প্রতিরোধ, অর্থ পাচার সনাক্তকরণ, মাদক থেকে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতা, টেলিফোন বা টেলেক্স ও ফ্যাক্সযোগে দ্রুত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা, দুই দেশের মাদক অপরাধীদের প্রোফাইল বিনিময় ইত্যাদি উল্লেখ রয়েছে। সম্পাদিত চুক্তির ফলে ২০১১ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের ইয়াংগুনে দুই দেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত নোডাল এজেন্সী প্রধান পর্যায়ে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের সম্মতিতে দ্বিতীয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় ঢাকায় বৈঠকটি অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও মিয়ানমার সাড়া দেয়নি।

৩ thoughts on “৩ বছর পর বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *