নগরীর বায়োজিদ থানার শেরশাহ কলোনি এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের পরাজিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ আহমেদ ও মাহবুবুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। তারা দু’জনেই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নতুন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বায়েজিদ থানার এসআই সায়েম, এএসআই সঞ্জীব দত্ত ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মানিক। এদের মধ্যে সায়েম ও সঞ্জীব স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়েছেন আর মানিকের বাম হাতে গুলি লেগেছে। তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বায়োজিদ থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক।
ওসি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরবর্তী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমাদের তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফরিদ আহমেদ ও মাহবুবুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র দখলের জের ধরে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কিন্তু নির্বাচনে দুই প্রার্থীই পরাজিত হন। নির্বাচনের পরদিন বুধবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগ ক্যাডার মেহেদী হাসান বাদলের বাসভবন লক্ষ্য করে প্রতিপক্ষের লোকজন কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এসময় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় মেহেদী হাসান বাদল ও পলিটেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রায় ৪শ’ নেতাকর্মী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুবুল আলমের বাসায় হামলা করতে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাহবুবুল আলমের সমর্থকরাও জড়ো হয়। এসময় উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে সমর্থকরা প্রায় ১০/১৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে তিন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধসহ উভয় গ্রুপের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
Hello There. I found your blog using msn. This is an extremely well written article. I will make sure to bookmark it and return to read more of your useful information. Thanks for the post. I’ll certainly comeback.
I haven’t checked in here for a while since I thought it was getting boring, but the last several posts are great quality so I guess I will add you back to my everyday bloglist. You deserve it my friend 🙂
You have noted very interesting points! ps nice web site.