বিশ্বের ৫ কোটি ৩০ লাখ গৃহকর্মীর মধ্যে ৮৩ শতাংশই নারী বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫২ শতাংশ থেকে কমে ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘের ‘প্রোগ্রেস অব দ্য ওয়ার্ল্ডস ওইমেন’শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
১৯৯৫ সালে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে গৃহীত কর্মপরিকল্পনার (বেইজিং পিএফএ) বাস্তবায়ন গত ২০ বছরে কতটুকু হয়েছে তা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ ৩৫ শতাংশে থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। বিশ্বজুড়ে এটি ৫২ শতাংশ থেকে কমে ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্যও বেড়েছে। যেখানে সারা বিশ্বে পুরুষদের তুলনায় নারীর বেতন ২৪ শতাংশ কম, সেখানে এই অঞ্চলের নারীরা পুরুষের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম বেতন পান।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশ্বের ৬৩ শতাংশেরও বেশি নারী করণিকের মতো পদে কাজ করেন। আর ৫৫ শতাংশ নারী পণ্য বিক্রয়ের কাজের সঙ্গে জড়িত। মাত্র ৩৩ শতাংশ নারী ব্যবস্থাপনাগত পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া বিশ্বের ৩৯ শতাংশ নারী শ্রমিক তাদের ছয় বছরের কম বয়সি সন্তানের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ শতাংশ ভারতীয় নারীর নামে কোনো মূল্যবান সম্পদ নেই। এ ক্ষেত্রে পুরুষেদের সংখ্যা ৩০ ভাগ।
এ সম্পর্কে ইউএন ওইমেন-এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং নির্বাহী পরিচালক ফুমজিল মালাম্বো-ন্যাককুকা লিখেছেন, নারীদের পিছিয়ে রাখে এ ধরনের ছোট বা বড় সামাজিক মূল্যবোধ বা নিয়মকানুন বদলে আমাদের সক্রিয় হতে হবে।
রাজ / প্রবাস নিউজ