তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবহিনী ব্যারাকে থাকবে, না ভোট কেন্দ্র এলাকায় টহল দিবে, এ বিষয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নির্বাচনের দিন সহিংসতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) এ আশংকা প্রকাশ করে বলেছে, এর ফলে নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতিও কম হতে পারে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে এক পর্যবেক্ষণে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। রোববার এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিচালক ড. আব্দুল আলীম।
আব্দুল আলীম বলেন, আইন-শৃংখলাবাহিনীর কার্যক্রমের কারণে কিছু কিছু প্রার্থীকে খুবই সীমিতভাবে প্রচার চালাতে দেখা গেছে। অনেক প্রার্থী গ্রেফতার কিংবা রাজনৈতিক মামলার কারণে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে পারেন ভেবে প্রচার চালাননি। এছাড়া পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় অনেকে প্রচার চালাতে পারেননি। বিশেষ করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচার সামগ্রী অন্য প্রার্থীদের তুলনায় কম ছিল।
তিনি বলেন, তিন সিটি কর্পোরেশনের সবকটিতেই মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা আচরণবিধি লংঘন করেছেন। এসব লংঘনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে খুবই সীমিত আকারে আইনী ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। আচরণবিধির এসব লংঘন ছোট ছোট কিন্তু প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের অভাবে এগুলো উৎসাহিত হয়েছে। যা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিনষ্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন, আইন অমান্য করে প্রার্থীরা প্রচারে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কিত ছবি, স্লোগানসহ বিভিন্ন বিষয় ব্যবহার করেছেন। নির্ধারিত আকারের চেয়ে বড় আকারের পোস্টার দেয়ালে, যানবাহনে, বিদুৎতের খুঁটিতে, ছাদে পোস্টার লাগিয়েছেন। যা নির্বাচনের আচরণ বিধির স্পষ্ট লংঘন। এছাড়া রাত ৯টার পর মাইক্রোফোন ও লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও প্রার্থীরা তা মানেননি।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তরে ৯টি, দক্ষিণে ১৪টি ও চট্টগ্রামে ১০টি মোবাইল কোর্ট বসিয়েছিল। কিন্তু কেবল অর্থদন্ড ও সতর্ক নোটিশে তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল।
ইডব্লিউজি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদার করার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ২৮টি সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত হয়।
রাজ/ প্রবাস নিউজ