ঢাকা: আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাড়িবহর নিয়ে প্রচারণা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে এ চিঠিটি রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেটকে নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ সম্বলিত ইসির পাঠানো একটি চিঠি ইতিমধ্যে তাদের হাতে এসেছে।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ ও ম্যাজিট্রেট সেই প্রার্থী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য রাস্তা বন্ধ করে জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারেন না- চিঠিতে এ কথা উল্লেখ আছে বলে জানা যায়। বিধি অনুযায়ী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে বলে ইসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে গাড়িবহর নিয়ে গত রোববার থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপসন বেগম খালেদা জিয়া । তিনি প্রচারণা নামায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হচ্ছে, তার প্রচারণা চালানোয় ২০ দলীয় জোটের পুরো সমর্থন পাচ্ছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক ‘সহস্র নাগরিক কমিটি’ খালেদা জিয়ার ইসিতে এমন অভিযোগ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই খালেদা জিয়াকে প্রচারণা থেকে বিরত রাখার কৌশল হিসেবেই এ চিঠি দেয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়ে প্রয়োজনীয় পদেক্ষেপ নিতে বলেছে ইসি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কমিশন নির্দেশনা দেবে। কারণ তিনি (খালেদা জিয়া) তিনি যে কাজ করছেন তা আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ কারণে এরশাদকে যদি সতর্ক করে চিঠি দেয়া যায়, তবে তাকে যাবে না কেন?’
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়িবহর নিয়েব্যাপক জনসংযোগ করে কেউ যেন প্রচারণা চালাতে না পারে, সেজন্য পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশনা দেয়া হবে। নির্দেশনাটি পুলিশ কমিশনার, রিটার্নিং অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দেয়ার কথা রয়েছে।’
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) খালেদা জিয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক গ্রুপ ‘সহস্র নাগরিক কমিটি’ প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে আপত্তি জানায়। খালেদা জিয়ার প্রচারণার কারণে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হচ্ছে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় এ সংগঠন।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসারে, ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। সে হিসেবে আগামী ২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।
আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি)উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রচারণা বন্ধ হবে ২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে।
Jone Make liked this on Facebook.
Md Abdullah Hilton liked this on Facebook.
Kamrul Huda Luis liked this on Facebook.