ঢাকা: ওয়ানডেতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। যে দলটির বিপক্ষে একটিমাত্র ওয়ানডে জিততেই প্রায় দেড়যুগ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। ঠিক তাদেরকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করাটা কত বড় অর্জন হতে পারে, সেটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ’পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করাটা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অর্জন।’ এটা তার সতীর্থরাই তাকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন এ সিরিজের শুরুতে।
ওয়ানডে সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াটইওয়াশ করা, এমনকি সেই সঙ্গে চাপের ভিতর থেকেও বাংরাদেশ দল শেষ পর্যন্ত কিভাবে ঘুরে দাঁড়ল্ এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথমেই পেশাদারিত্বের দিক থেকে বলবো খারাপ অবস্থা থেকে দলকে উঠিয়ে নিয়ে আসা। কারণ সিরিজটি আমরা আগেই জিতেছি।
কোন এক সময় কঠিন পরিস্থিতি আসতে পারে সেটা আগেই বলেছিলাম। এই সময়টা দল কেমন করে সেটা দেখা দরকার ছিল। আজকে একটা সময় মনে হয়েছিল, যে ওরা ৩০০-৩২০ করবে। সেখান থেকে ঘুরে আসা অনেক বড় ব্যাপার। এভাবে যতবার ঘুরে আসবো ততবার আমরা ম্যাচ জিততে পারবো। আজকের ম্যাচে ভালো করতে পেরেছি বলে জিততে পেরেছি। এভাবে যদি পেশাদারিত্ব দিয়ে মনোবল ঠিক রাখতে পারি তাহলে আরো বেশি ম্যাচ জিততে পারবো।’
ম্যাচ শেষে ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষাই বলে দিচ্ছিলো কতটা খুশী তারা। দীর্ঘ সময় ধরে দর্শকদের সঙ্গে আনন্দ উল্লাস ভাগাভাগি করেছেন ক্রিকেটাররা। মাশরাফি নিজেও অনেককে খুশীতে বুকে টেনে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। অনেকের সেলফির আবদার মিটিয়েছেন হাসিভরা মুখে। গরমের মধ্যে পুরো ম্যাচ খেলার পরও ক্লান্তির লেশমাত্র ছিলো না চোখে মুখে। শুধু মাশরাফি কেন, দর্শকদের আবদার মেটাতে বাংলাদেশ দলের কোনো ক্রিকেটারের মধ্যেই বিরক্তির চিহ্নমাত্র ছিল না।
বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশ দল একটি দল হয়ে খেলছে। আর এ দলের প্রত্যেক সদস্যকে যে কে সুতোয় গেঁথেছেন মাশরাফি। তা না হলে শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের আজহার আলী ও হারিস সোহেল ভালোভাবে জুটি গড়ে বড় ইনিংস গড়ার আভাস দিচ্ছিলেন । ঠিক তখনই মাশরাফি বল হাতে নিয়ে ভাঙ্গলেন জুটি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি বোলিং করেছি, সাকিব ওই সময়ে ভালো বোলিং করেছে। ওদের জুটিটা ভালো হয়েছে। ভাগ্য বেশ ভালো আমাদের ফেভার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বকাপের আগে বলেছিলাম, যে বিশ্বকাপের দলটি সাম্ভাব্য সময়ে সেরা দল এবং এই সময়ের দলে কোনোভাবে পরিবর্তন আসেনি একটা-দুটা ছাড়া। এটা স্বাভাবিক পরিবর্তন হতে পারে, আবার ওরাই দলে আসবে। কোনো দলকে ছোট করবো না। আমি আগেও সব সময় বলেছি, আমরা আগে যে সময় জিতেছি সে সময়ের জয়গুলো বাংলাদেশের জন্যে প্রয়োজন ছিল। এখন জয়টা খুব দরকার। বিশেষ করে র্যাঙ্কিংয়ে এই জয়গুলো বেশ প্রয়োজন। অধিনায়ক হিসেবে মনে করি এই জয়গুলো আমাদেরকে আরও এগিয়ে দেবে।