আমরা যদি আমাদের মৃত্যুর তারিখ জানতাম তাহলে কেমন হতো? জীবনের মতই হয়তো মৃত্যুও রোমাঞ্চকর। আমার মতে। দেহ মরে যায় কিন্তু আত্মা মরেনা – কথাটা হাদিসে পড়েছি। একবার হুজুর মোহাম্মদ সাঃ এর কাছে একজন সাহাবী প্রশ্ন করেছিলেন – হুজুর, মৃত্যুর পরে আমাদের কেমন কাটবে। হুজুর বলেছিলেন, তোমাকে আমি একজন মৃত ব্যক্তির অনুভূতি অনুভব করাবো। সাহাবী লিখেছিলেন, তিনি যখন মারা যান তখন তার আত্মা সব কিছু শুনেছে, বুঝতে পেরেছে, কিন্তু যেহেতু তার দেহ মরে গেছে তাই দেহের মাধ্যমে বা দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মাধ্যমে জীবিতদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।
সেই সাহাবী বর্ণনা করছেন। তার মৃত্যুর পরে তার স্ত্রী অনেক কান্নাকাটি করছিলেন। উনি সবার কথা শুনতে পেয়েছেন কিন্তু প্রতিউত্তর করতে পারেননি। স্ত্রীকে সান্তনা দিতেও পারেননি। সেজন্য বলা হয় মৃত্যুর সাথে সাথে মৃতের দাফনের ব্যবস্থা করা উচিৎ। আত্মা শুনতে পারে, বুঝতে পারে, জীবিতদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনা সেজন্য আত্মার কস্ট হয়। সেজন্য বলা হয় মৃতের প্রিয়জন আত্মীয়স্বজনের উচিৎ মৃতের জন্য কান্নাকাটি না করে দোয়া করা।
মৃতের জন্য অনেকেই অনেক কারনে কান্নাকাটি করেন।
মৃত মানে একটা স্থান শূন্য হয়ে যাওয়া। তবে সেই শূন্য স্থান একসময় পূরণ হয়ে যায়। বেশীদিন খালি থাকেনা । কেউ না কেউ এসে সেই শূন্য মন, শূন্য ঘর, শূন্য আসবাব শূন্য স্থান পূরণ করে ফেলে। সে তার সন্তান হোক, অথবা অন্য কোন মানুষ হোক। একদল মানুষের মৃত্যু হচ্ছে আর একদল মানুষের জন্ম হচ্ছে। যারা জীবিত তাদের অনেক দায় দায়িত্ব আছে। দুনিয়াতে আসার কারণ যা কিছু সব কিছুই জীবিত অবস্থায় মানুষের দায় দায়িত্ব যা আমরা অনেকেই পালন করিনা।
একজন মানুষ যদি কপর্দকশূন্য হয় তাহলে তার জন্য কেউ কা্ন্না করেনা। একজন মানুষ যদি অন্য মানুষের বোঝা হয়ে থাকে তাহলে সবাই চায় মৃত্যুর মাধ্যমে এই বোঝা নেমে যাক এবং এই মৃত্যু তাদের কাছে অনেকটা আনন্দদায়ক। তবে লোক দেখানোভাবে অনেকেই বিকট শব্দ করে কান্নাকাটি করেন। মনে মনে যদিও স্বস্থির নিঃশ্বাস ফ্যালেন।
কেউ কারুকে অনেক ভালবাসলে সেই ভালবাসার মানুষের যদি মৃত্যু হয় তাহলে সেই স্থান কেউ দখল করতে পারেনা। মায়ের মৃত্যু, ভাইয়ের মৃত্যু, বোনের মৃত্যু, স্বামী বা স্ত্রী বা প্রেমিক বা প্রেমিকার মৃত্যু যার সাথে অনেক গভীর ভালবাসার সম্পর্ক ছিল – কোন স্বার্থের সম্পর্ক্ ছিলনা তার যদি মৃত্যু হয় তাহলে অনেকেই অনেক কস্ট পান এবং সেই মানুষের অভাবে যে শুন্যতার সৃষ্টি হয় তা কোনদিন পূরণ হয়না।
সারা বিশ্বে যেটা স্বাভাবিক মৃত্যু তা হলো বয়স হবার কারণে বা জীবন চক্র ভ্রমণ পূর্ণ করার পরে অবধারিত মৃত্যু। এছাড়া আছে শিশু মৃত্যু। জন্মের সাথে সাথে অনেক শিশু মারা যায়। অনেক মৃত্যু আছে যা অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু। মাবাবা দরিদ্র তাই সন্তানের ভরণপোষন করতে পারেন না। পর্যাপ্ত খাদ্য না পেয়ে শিশু্রা মারা যায়। আবার দেখা যায় অনেক টাকা থাকার কারণে শিশু মারা যায়। এটা বাংলাদেশে হচ্ছে । ধণীর ছেলেমেয়েদের অপহরণ করে টাকা দাবী করে, দরিদ্রের সন্তানদের কেউ উঠিয়ে নেবেনা। ক্ষুধা এসে দরিদ্রের সন্তানদের উঠিয়ে নিয়ে যায় আর অপহরণকারীরা এসে ধণীর সন্তানদের উঠিয়ে নিয়ে যায়, তারপর টাকার জন্য পরিবারের উপর চাপ দেয়, টাকা পেলে শিশুকে ছেড়ে দেয়। সেদিন একটি শিশু এইভাবে মারা গেছে। স্কুলে যাবার পথে বা স্কুল থেকে আসার পথে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এই মৃত্যুর সাথে অপুষ্টি বা ডাক্তারের অবহেলার কোন কারণ ছিলনা। এই শিশুর বস্তাবন্দী লাশ একজন পুলিশের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ভুয়া মামলার আসামীদেরও এখন এইভাবে মৃত্যু হচ্ছে। ভুয়া মামলা দিয়ে তরুনদের গ্রেফতার করা হয় তারপর সেই তরুনের উপরে অকথ্য নির্যাতন করা হয় তারপর তার পরিবারের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয় পরিবার যদি টাকা দিতে পারে তাহলে মামলা থেকে রেহা করা হয় টাকা না দিতে পারলে মেরে ফেলা হয়। পরিবারের সদস্যরা যেভাবে হোক টাকা যোগার করে পঙ্গু ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে পংগু হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। থানার লাভ, পঙ্গু হাসপাতালের ডাক্তারদের লাভ। এক অপহরণ অনেক মানুষের জন্য সৌভাগ্য বা আশীর্বাদ নিয়ে আসছে। “অপহরণ” একটি অর্থকরী পন্য।
আজকাল অনেক তরুন বন্দুক যুদ্ধে মারা যাচ্ছে। সরকার বিরোধীদলের রাজনৈতিক সদস্যদের দরিদ্র গ্রুপটাকে এখন হত্যা করা হচ্ছে । হত্যা করার পরে বন্দুক যুদ্ধের গল্প বানিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে মৃতের শরীরে ১৭ থেকে ৫৭ টা গুলি কিন্তু যার সাথে যুদ্ধ হয়েছে সেই পুলিশের শরীরে গুলি তো দূর উর্দীর ভাজও নস্ট হয়নি। এই যুদ্ধ প্রমান করা লাগেনা। বন্দুক যুদ্ধ এখন একটা মজার খেলা। পুলিশেরা বসে বসে এইসব গল্প বানায় আর টাকা বানায় আর হাসি তামাশা করে। এখন এইসব মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু ।বন্দুক যুদ্ধে মৃত্যুর বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ ঃ
যারা মারা যাচ্ছে তারা সবাই তরুন
যারা মারা যাচ্ছে তারা দরিদ্র নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে
যারা মারা যাচ্ছে তাদের জন্য দলের অন্যান্য বড় বড় নেতারা কান্নাকাটি করছে না বা প্রতিশোধের কথা চিন্তা করছে না বা মৃতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ বা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করছেনা বরং মরলে পদক দেবে বলে ঘোষনা করছে। বা দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধা নাম দেওয়া হবে বলে ঘোষনা করা হচ্চে। সরকারী ও বিরোধীদলে উভয় দলের নেতাদের জন্যই এইসব মৃত্যু আশীর্বাদের মত। বিরোধীদলের নেতারা নির্বাচনে জয়লাভের টিকেট হিসাবে এইসব তরুনদের “মৃত্যুগুলো”কে ব্যবহার করে। অন্যদিকে সরকারীদল অন্যান্য সমবয়সী তরুনদের মনোবল ভেঙ্গে দেবার জন্য, ভয় দেখাবার জন্য, বিরোধীদলের জনপ্রিয়তার কারণে বন্দুক যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেদের হত্যা করার জন্য মনোনিত করছে। ধনীরা সবাই এক দল। আর দরিদ্ররা সবাই এক দল । সর্বকালেই হত্যার জন্য দরিদ্রদেরকেই বেছে নেওয়া হয়।
দরিদ্র, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা মরলে দেশের কোন শ্রেনীর জনগনেরই কিছু যায় আসেনা। এই মৃত্যুগুলোও তাই স্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবে পরিগনিত। বিরোধীদলের যেসব ছেলেদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে তাদের মামলার তদবীর করার জন্য বিরোধীদলের উকিলদের কোন মাথাব্যাথা নাই। তবে নিজেদের শ্রেনীর কারুকে ধরে নিয়ে গেলে এইসব উচ্চ শ্রেনীর বিশদলের সমর্থক/ সদস্য উকিলেরা অনেক বড় বড় ভাষন ও হুমকী ধামকি দিয়ে থাকে । এ থেকে বোঝা যায় এইসব মৃত্যু হলো এক ধরনের বিজ্ঞাপন বা এইসব “মৃত্যু” গুলোকে পন্য হিসাবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
কিছু লোক মরলে বাকী লোকজন সরকারের বিরোধীতা করবে। – এটা আশার কথা। দুঃখের কথা নয় ।
সরকারের দল ভাবছে কিছু মানুষকে মারলে – বাকী জনগন মরার ভয়ে চুপচাপ সব নির্যাতন সহ্য করে যাবে । মৃতের জন্য কোন প্রতিবাদ করবেনা। ভেতরে ভেতরে বিরোধীদলের নেতাদের ক্রয় করা শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনে জয়লাভ নিয়ে কথা। নির্বাচনে জয়লাভ করলে নির্বিঘ্নে ব্যবসাতে টাকার পাহাড় গড়া যাবে । মরুক যত মানুষ জিয়াকে ভালবাসে বা ইসলামকে ভালবাসে বা যাকে ভালবাসে বাসুক একজন মরলেই হবে – যত মরবে উভয়দলের বা সব দলেরই তাতে বেজায় লাভ। এছাড়া জনসংখ্যাও কমছে।
দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধবগতির ফলে বাংলাদেশের অনেক মানুষ না খেয়ে মারা গেছে, যাচ্ছে, এবং যাবে। এটা খুব স্বাভাবিক। জনসংখ্যা বেশী। জনসংখ্যার তুলনায় উৎপাদন নাই, উৎপাদন না থাকলে চাকুরী থাকবেনা বা চাকুরী সৃষ্টি হবেনা। না খেয়ে যারা মরছে তারা নীরবে মরছে। এইসব মৃত্যুর জন্য কারু কিছু আসে যায়না। শুধু সেলিব্রিটি মরলে সাড়া দেশের সবাই খেয়ে না খেয়ে শোক পালন করে। আর জানাজাতে শরীক হবার লোকের তো অভাব নাই। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের মানুষকে ভালবাসেনা, কারু জন্য কারু কোন সমবেদনা নাই, ভালবাসা নাই, বাজারে ব্যবসায়ীরা বিষ মিশিয়ে খাবার বিক্রি করলে তা খেয়েই সবাই চুপচাপ আছে, কিন্তু জানাজাতে শরীক হবার ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ খুব উৎসাহী।
অনেক সময় দেখা যায় পুলিশ বা র্যাবে সমস্ত মহল্লাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে মহল্লাবাসীর একজনকে পিটাতে পিটাতে বা সেই মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে তছনছ করে সেই মানুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সবাই চুপচাপ অপেক্ষা করে, সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে, পুলিশের চাইতে সংখ্যায় মহল্লাবাসীরা অনেক বেশী কিন্তু কেউ পুলিশ বা র্যাবকে কোন প্রশ্ন করেনা বা থামাবার উদ্যোগ গ্রহন করেনা। কে নিবে এইসব দায়দায়িত্ব? সবাই যার যার জীবন নিরপদ রেখে দূর থেকে দ্যাখে। এই মানুষের মৃত্যুর জন্য সবাই অপেক্ষা করে। মৃত্যুর পরে সবাই পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে মাথায় টুপি লাগিয়ে জানাজাতে আসে। দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত রাজনৈতিক নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মৃত্যুর জন্য এইসব দলের বড় নেতারা অপেক্ষা করে শকুনের মত।
এরা মরলেই দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। জনগনের আস্থা ফিরে পাবে। নির্বাচন হলে চোখ বন্ধ করে জয়লাভ করবে। অন্য একদল মানুষ অপেক্ষা করে অনেকটা কুরবানি গরু জবাই দেখার জন্য মানুষ যেমন গরুর চারিপাশে ভীর করে অপেক্ষা করে। গরু জবাইয়ের ছবি উঠায়। এই গরু জবাই হইলে, গরুর মাংস টুকরা করা হবে, বাসায় গেলেই রান্না হবে, রান্না হইলেই মজা করে খাইতে পারবে। ঠিক একইভাবে এই ছেলেকে নির্যাতন করে ভুয়া মামলা দিয়া থানায় নিলে পুলিশের পরিবার অপেক্ষা করে ব্ল্যাকমেইল করে অনেক টাকা আসবে ঘরে, বাড়ি কিনবে, গাড়ী কিনবে, বড় বড় লোকের সাথে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে পারবে, মহল্লাবাসী অপেক্ষা করে এই মানুষ মরলেই তার জানাজাতে শরীক হয়ে জগতের সব চাইতে বৃহৎ জানাজার ছবি উঠাতে পারবে। তারপর সবাই মিলে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে পারবে – কার জানাজাতে কত মানুষ হয়েছিল। বাপের জানাজাতে বেশী মানূষ নাকি ছেলের জানাজাতে বেশী মানুষ ? স্বাধীনতার স্বপ্নদৃষ্টার জানাজাতে বেশী মানুষ না কি স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষের রাজাকারের জানাজাতে বেশী মানুষ।
কারুকে পিটিয়ে হত্যা করা হলে। চারিপাশে লোকজন ভীর করে সেই পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য অবলোকন করে। ক্যামেরা দিয়ে ছবি উঠায়। খুনীদের দিকে সমীহের চোখে তাকিয়ে থাকে। আহা কত সুন্দর মানুষ জবাই হচ্ছে। ছবি উঠিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে। পত্রিকাতে প্রকাশ করে নেত্রীর কাছে থেকে বাহবা পায় ।
মৃত্যু এক ব্যাপক লেনদেন সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের বাজারে। বাংলাদেশে “মৃত্যু” এখন একটি অর্থনৈতিক পন্য। বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে এখন “মৃত্যু” শেয়ার বিক্রি হবে। সাতক্ষিরা বিএনপীর তরুন সদস্য বন্দুক যুদ্ধে মারা গেলে তার লাশের উপরে কে কত টাকা কামাতে পারবে ? সাথে সাথে দেখা গেল সীতাকুন্ডে আর এক ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। দুই মৃত্যুর শেয়ার, স্টক, বন্ড সব কিছু মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এর পরেও এইসব মৃত্যু শেয়ারে চিটিংবাজীও আছে। যেমন সেদিন পুলিশকে টাকা দিয়ে একজন বিএনপীর সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। স্বনির্বাচিত সরকার, স্বনির্বাচিত সংসদ সদস্য, স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হওয়া নেতা, সেদিন বিএনপীর আর একজন নেতা নিজেই নিজেকে গুম করেছে। স্বগুমের নেতাকে আন্দোলনের শুরুতে তেমন কেউ পাত্তা দিচ্ছিলনা এখন দলের দরিদ্র ছেলেদের মৃত্যুর পরে সবাই ভাবছিল যে ধনী নেতাগুলার কিছু হয়না। ওরা বেশ লুকিয়ে মজা করে অপেক্ষা করছে। ফকিরের পোলারা মরলে আমীররা সব মন্ত্রী মিনিষ্টার হবে— সেজন্য সেই প্রতারক নেতা একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি করার জন্য এই গুমের আয়োজন করে ফেললো। নেতার বউয়ের চোখ সাহারা মরুভুমির মত শুষ্ক । স্বামীকে ধরে নিয়ে গেলে কোন মহিলা এভাবে আর্মীদের মত কুচকাওয়াজ করে টিভি ক্যামেরার সামনে স্বামীকে ফিরিয়ে দেবার দাবী জানাতে পারে দেখে সত্যই বিমোহিত হলাম। । গ্রেফতার প্রতারণার পরে দেখানো হলো গুম প্রতারণা। মৃত্যুর মত আরও অনেকগুলো অর্থকরী পন্য আছে বাজারে – অপহরণ, প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইল, মিথ্যাচার, ভার্চ্যুয়াল প্রেমিকের অভিনয় এইসব হলো “মৃত্যু” পন্যের সাথে সহকারী বা সহযোগী পন্য।
Zakir Hussain liked this on Facebook.
AP Alim liked this on Facebook.
Kamrul Hossain liked this on Facebook.
Anamul Haque Feni liked this on Facebook.
Anjana Alam liked this on Facebook.
Kholil Ahmed liked this on Facebook.