স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে মাঠে নামা হয়নি এ অদৃশ্য শক্তির। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে তিনি বলতেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে কোনো বড় দলকে হারাতে হবে। ঠিক মাঠে না নেমেও যেন সে কাজে সহযোগিতা করেছিল এক অদৃশ্য শক্তি।
তবে এ আদৃশ্য শক্তির রহস্যটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বেশ কষ্টদায়ক। কেননা জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারের অকাল মৃত্যু এটি। মরেও যেন তিনি আছেন। তিনি বড় দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে লড়েছিলেন একবার।
বাংলাদেশ সে ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জয় পায়। ১৯ মার্চ স্বশরীরে অকাল প্রয়াত সে ক্রিকেটারের মাঠে নামার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু অদৃশ্য শক্তি হিসাবেই ভারতের বিপক্ষে যেন লড়বেন তিনি!
কাকতালীয়ভাবে ঘটনার বিন্যাস। রানার মৃত্যুর পর এর আগে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। একই ঘটনার পুনরায় ফিরে আসছে।
এই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের প্রয়াত অলরাউন্ডার মানজারুল ইসলাম রানার কী যেন একটা সম্পর্ক আছে! নয়তো তার মৃত্যুর মাসেই কেন বারবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ!
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়েছিল রানার দুঃসহ মৃত্যু–সংবাদকে সঙ্গী করেই, তার মৃত্যুর ঠিক দুদিন পরে। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে ভারত যেদিন বাংলাদেশের কাছে আবারও হারল, সেই দিনটা ছিল রানার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী।
আজ ২০১৫ সালে রানার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী যখন পার হয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন বাংলাদেশ অপেক্ষায় আছে আরও একটি ভারত-মহারণের। ভারতের সঙ্গে এটি রানার বিশেষ কোনো যোগ নয়তো কী!
২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ই গোটা বাংলাদেশ শিবির বিমূঢ় হয়ে গিয়েছিল দেশ থেকে আসা ভয়াবহ এক দুঃসংবাদে। টিমমেট-বন্ধু মানজারুল ইসলাম রানা প্রাণ হারিয়েছেন এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায়। প্রিয়জন হারানোর বেদনা বুকে চেপে রেখেই পোর্ট অব স্পেনে দল খেলেছিল।
আজও বাংলাদেশ দলের অনেকেই মনে করেন এবং অন্তর দিয়েই বিশ্বাস করেন, সেদিন পোর্ট অব স্পেনে প্রতিটি খেলোয়াড়ের ছায়াসঙ্গী হয়ে নাকি মানজার রানা ছিলেন। বিজ্ঞানমনস্করা এই কথায় বিরক্ত হতে পারেন, তা হোন তারা।
কিন্তু বিশ্বাস কিংবা আবেগের সঙগে তো আর জোর খাটে না। যুক্তিও যে অনেক ক্ষেত্রেই আবেগের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত। আর এ কথা নিশ্চিত বুকে বড় ব্যথা ও অতীতের সব স্মৃতি নিয়েই ভারত বধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
প্রবাসনিউজ/রিয়াজ