দিপুমনির অসম প্রেম ও পর্ন ভিডিও ফাঁস; লন্ডনে তোলপাড়

১১ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের একটি পর্ন ভিডিও ক্লিপ নিয়ে লন্ডনে চলছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। পর্ন ভিডিওতে দেখা গেছে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি (উড়ালমন্ত্রী নামে খ্যাত) আর লন্ডনের যুবলীগ নেতা সুশান্তকে। দীপুমনি ও সুশান্তের গোপন পর্ন ভিডিওটি সুশান্তের মোবাইলে রয়েছে বলে নিউজবিডিসেভেনকে জানিয়েছেন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাহা উদ্দিন।

বিশিষ্ট নাট্য প্রযোজক বাহা উদ্দিন জানান, সুশান্তের সাথে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। এই সুবাদে একদিন রাতে আমরা মাইলেন্ড রোডের একটি মদের বারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সেদিন সুশান্ত অতিরিক্ত মদসেবনের ফলে মানসিকভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় সুশান্ত তার ও দীপুমনির রেকোর্ডকৃত গোপন সেক্সের ভিডিও ক্লিপটি আমাকে দেখিয়ে বলে কাউকে না বলার জন্য।

সুশান্তের মোবাইল ফোনে ভিডিও ক্লিপটি একটি আপত্তিকর অবস্থার দৃশ্যায়ন। ভিডিওচিত্রে ১১ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের মাথায় যে মুখটি ভেসে উঠে তা চমকে দেয়ার মতো। তিনি আর কেউ নন স্বয়ং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি। ভিডিও চিত্রের এই ক্লিপটি ধারণ করেছেন সুশান্ত নিজে। ২০১৩ সালে কোন এক সন্ধায়। সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্ক লেইনে অবস্থিত অভিজাত্ হোটেল হিল্টনে এক সাথে রাত্রি যাপনকালে এই ভিডিও চিত্রটি ধারণ করা হয়।

সুশান্ত তার বন্ধুকে আরও জানায়, দিপু হচ্ছে আমার মনের মনিকোঠার মনি। মনি বিদেশে আসলেই আমাকে সময় দেয়, আমার সাথে রাত কাটায়।

এ বিষয়টি নিয়ে লন্ডনের আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক মহলেও অনেক গুঞ্জন ও সমালোচনা চলছে। কিন্তু এসব সমালোচনায় কর্ণপাত করেন না বলে জানিয়েছেন সুশান্ত।

সুশান্ত জানায়, যেখানে স্বয়ং মন্ত্রী আমার প্রেমে উন্মাদ আমার ভয় কিসের?

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৭ জুলাইর শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকীর বিবাহোত্তর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি ৪ জুলাই লন্ডন সফর করেন। ৮ জুলাই সরকারি সফরে বেলারুস যাওয়ার আগে হাসিনা ও দীপুমনি লন্ডনে ৫দিন থেকেছিলেন। ৬ ও ৭ জুলাই ছিল তাদের ব্যক্তিগত সফর। এ সময় তারা সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্ক লেইনে হোটেল হিল্টনে অবস্থান করেছিলেন। আর এ সময়টাতেই দীপুমনি ও সুশান্ত এই অবৈধ যৌনকর্মের মতো অপকর্মে লিপ্ত হন।

এ বিষয়ে বাহা উদ্দিন আরও বলেন, আমি সুশান্তকে জিজ্ঞেস করলাম যে সবাই জানে প্রশান্ত নামের একটি ছেলের সাথে দিপুমনির প্রেম। যা যুক্তরাজ্যের বাঙালি পাড়ার সবার মুখে মুখে। তাহলে তোর সাথে কিভাবে সম্পর্ক হল? উত্তরে সুশান্ত বলে, তা তো জানি, কিন্তু সে প্রেম ২০০৯ সালেই সমাপ্ত হয়ে গেছে। তারপর থেকে আমার সাথে রিলেশন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে যখন দীপুমনি লন্ডন ছিলেন তখন পূর্ব লন্ডনের ম্যানর পার্কে প্রশান্তর বাসায় থাকতেন সাবেক এই মন্ত্রী ।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা ও হাসিনা পুত্র জয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে খ্যাত সুশান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টিকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।

তিনি এসব অস্বীকার করে বলেন, আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই আমার প্রতিপক্ষ কেউ এ ঘৃণ্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এদিকে সাবেক যুবলীগ ও বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, সুশান্ত একটা মালাউন। সে এই সমস্ত অসামাজিক কাজ করে আওয়ামীলীগের বদনাম করছে। সময় ও সুযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

তবে, জয়ের সাথে সুশান্তের ঘনিষ্ঠতা থাকায় যুক্তরাজ্যের কেউ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে আওয়ামী লীগের সুত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

এছাড়াও, বন্ধুদের বিভিন্ন আড্ডায় শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপের সাথেও সুশান্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করে সুশান্ত নিজেই। সুশান্তের ভাষায়, ঘনঘন বন্ধু পাল্টানোর অভ্যাস ছিল টিউলিপ সিদ্দিকীর। বিদেশী ছাড়া বাংলাদেশী কোনো ছেলেকে পাত্তা দিতেন না টিউলিপ। অনেক কষ্টের ফলশ্রুতিতে টিউলিপের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতে সক্ষম হই।

লন্ডনের বাঙালি পাড়ায় সুশান্ত প্লেবয় হিসেবে খ্যাত। টিউলিপের সাথে একাধিক বার তার রাত্রি যাপন হয়েছে বলে তার বন্ধু বাহা উদ্দিন জানান।