প্রতারণা চক্র – প্রতারক আনোয়ার পারভেজ

প্রতারকের নামঃ আনোয়ার পারভেজ রুবেল
প্রতারকের বাবার নামঃ জাফর আলম
প্রতারকের মায়ের নামঃ উম্মেল হাফসা
প্রতারকের গ্রাম ঃ ইউছুপেরখিল,
প্রতারকের জেলাঃ কক্সবাজার

প্রতারণার স্থানঃ লন্ডন, ইংল্যান্ড
প্রতারকের বর্তমান অবস্থানঃ হায়িজং (বিডি) লিমিটেড, হিজলতলী (বড়ইপাড়া) , কালিয়াকৈর, গাজীপুর, বাংলাদেশ

প্রতারক আনোয়ার পারভেজ প্রতারণা করেই জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতারণার শিকার হিসাবে সে বয়স্কা ও তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদের বেছে নেয়।  প্রবাসে থাকার কারণে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ ভেবেছিল আমার কাছে অনেক টাকা আছে। সে আমাকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিল – কানাডা এলে সে কি কি পাবে। আমি তাকে বলেছিলাম যে কানাডা এলে সে কিছুই পাবেনা।  বাংলাদেশে অনেক প্রতারক আছে যারা প্রতারক আনোয়ার পারভেজের মতই প্রতারনা করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতারিত করার পরে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ বা অন্যান্য প্রতারকরা তার বা তাদের শিকারকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে যাতে এই প্রতারণার কথা তারা কারুর কাছে প্রকাশ না করতে পারে। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের প্রতারণার শিকার হিসাবে আমার উপরে চলেছে মানসিক নিপীড়ন। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ অনেকটা কসাইয়ের মত। কসাই যখন মানুষ বা পশু জবাই করে তখন কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ আমার টাকা চুরি করার পরে এমন ভাব দেখিয়েছে যে এই টাকার উপরে বা এই টাকা চুরি করার উপরে তার এবং তার বাপদাদার পুরাপুরি অধিকার আছে। প্রতারক জন্মসূত্রে প্রতারক। প্রতাকের পুরা পরিবার প্রতারণা করে জীবিকা নির্বাহ করে । সেজন্য কারুকে প্রতারণা করার পরে এদের ভেতরে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়না। সে প্রতিদিন তার রুপ বদল করে । প্রতিদিন নতুন নতুন গল্প বলে। বড় বড় দাঁত বের করে প্রতিদিন হাসে। চিৎকার করে গান গায়। হাত নেড়ে নেড়ে হেড়ে গলায় বড় বড় কথা বলে। চিৎকার করে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন প্রতারক আনোয়ার পারভেজের চেহারা কদর্য কুৎসিত করে ফ্যালে। এইসব কথা লিখে প্রকাশ করা অনেক কঠিন । প্রতারক আনোয়ার পারভজের প্রতারণার সময় ছিল মে ১৮, ২০১২ থেকে অক্টোবর ৩১, ২০১৩ পর্যন্ত । পুরুষের প্রতারণার কথা কেউ লেখেনা। বিশেষ করে বাংলাদেশে।

পুরুষ যখন অপরাধ করে, সেই অপরাধের কথা বাইরে প্রকাশ করা উচিৎ না। ভুলে যাওয়া উচিৎ । যে নারীর উপরে এই পুরুষ অবিচার করেছে সেই নারীর উচিৎ ব্যপারটা ভুলে যাওয়া। কেমন করে ভুলবে সেটা সমাজের অন্যান্য পুরুষরা জানেনা। জানার কথা না। যে নারীর উপরে অবিচার হয়েছে এই ব্যাপারটা সেই নারী ব্যক্তিগত ব্যাপার। যদি এই নারী এই অবিচারের কাহিনী কারুকে বলে তাহলে এই নারীর চরিত্রে কালিমা লেপন করা হবে।

এই কথা মাথায় রেখেই সেই পুরুষ অন্যায় অবিচার করে। মান্ধাতা আমলে ইউছুপখিলের গ্রামে যে নারীকেই ভাল লাগতো তাকেই যেকোন পুরুষ বিয়ে করে, ভোগ করে গোটা তিনেক বাচ্চা পয়দা করে, বাচ্চাকাচ্চা সহ বউকে তালাক দিয়ে অন্য মহিলাকে নিয়ে আবার বাচ্চা পয়দা করতে ব্যস্ত থাকবে । এইটাই নিয়ম। কোন নারীর সাথে কোন পুরুষের তালাক হয়ে গেলে এই নারী আর সেই পুরুষের অবিচার, অন্যায়, অপরাধ সম্পর্কে কোন কথা বলতে পারবেনা। এইটা গুরুতর অপরাধ। অপরাধ করা অপরাধ না। অপরাধ সম্পর্কে কথা বলা গুরুতর অপরাধ। ইউছুপেরখীলের নারীরা মুখ বুজে ভোগের সামগ্রী হয়ে বিভিন্ন পুরুষের জন্য বাচ্চা উৎপাদনের মেশিন হয়ে সেই সব বাচ্চাদের বিভিন্ন সৎ বাপের কাছে প্রতিপালনে অভ্যস্ত। সেটাই নিয়ম।

ইউছুপেরখিলের এক পুরুষ (?) প্রতারক জানোয়ার পারভেজ । প্রতারক জানোয়ার পারভেজের বাপের নাম জাফর সাব। জাফর সাবে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এখনও বিভিন্ন নালিশ সালিশ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সেই পুরানা নিয়ম অনুযায়ী নারীর প্রতি অন্যায়, অবিচার করে সেই অন্যায়কে ঢেকে রাখার জন্য সেই নারীর চরিত্রে কলঙ্ক লেপন করার ফরমুলা খুব পুরাতন ফর্মুলা খুব ইফেক্টিভ ফরমুলা । এখন তো বাংলাদেশে শুনেছি কোন কুমারী মেয়ে পাওয়া যায়না। জানোয়ার পারভেজ স্কাইপে আমাকে তথ্য দিয়েছে পাঁচ টাকার চা পান করালেই যেকোন মেয়ে এসে তার সাথে যৌনকর্ম করবে। এই তথ্য পেয়ে আমি অনেক খুশী হইলাম। যাক সাড়া বাংলাদেশে যেকোন মেয়ের দেহের মূল্য পাঁচ টাকার চা পানে নেমে এসেছে। এ্যাত অবমূল্যায়ন !! একটি মেয়ের দেহের মূল্য যদি পাঁচ টাকার চা হয় তাহলে পঞ্চাশ টাকার কোর্ট স্টাম্প কাগজে ভুয়া বিয়ের বউকে দেড় পাতা বদনামের তালিকা পাঠানোর কি দরকার ? বুঝিনি।

আমি ইউছুপেরখিলে বাস করিনা। ভাতের জন্য, বাসা ভাড়ার জন্য জানোয়ার পারভেজ আমার উপরে নির্ভরশীল ছিল ত্রিশ মাস। আমি তার উপরে নির্ভরশীল ছিলাম না। আমার টাকা দিয়েই সে আমাকে পাঁচ পাউন্ডের একটা টিনের চেইন কিনে দিয়েছিল । আর ম্যাকডোনাল্ডসে স্টাফদের জন্য দেওয়া ফ্রি খাবারের কুপন ভাঙ্গিয়ে আমাকে খাবার খাইয়েছিল। ভুয়া বিয়েতে বা টাকা মারার বিয়েতে জানোয়ার পারভেজ আমাকে সব চাইতে মূল্যবান উপহার দিয়েছে যা তা হলো তার তালাক নামা। পঞ্চাশ টাকা কোর্টের কাগজে দেড় পাতার ভুল ইংরেজীতে লেখা মিথ্যা অপবাদের তালিকা। আমি সেটা বিভিন্ন জাগাতে পোস্ট করেছি। অয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে। যদি কারু বউয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের তালিকা বানানো লাগে তাহলে এই জানোয়ার পারভেজের তালাক নামা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।

পুরুষের অবিচার, অন্যায়, অপরাধ সম্পর্কে ইউছুপেরখিলের নারীরা কোনদিন ফেসবুকে লিখবেনা। আর সেজন্যেই আমি সেই সব নিপীড়িত নারীদের পক্ষ থেকে ফেসবুকে এই খবর ছড়িয়ে দিলাম। জানোয়ার পারভেজ পরিকল্পিতভাবে প্রথমে তালাক নামাতে বদনামের তালিকা প্রস্তুত করে তারপর আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করে তারপর আমাকে তিনভভাবে বিয়ে করে (ঘরে- আত্মিয়স্বজনের সামনে, মসজিদে – আত্মিয়স্বজনের সামনে, ও বৃটিশ কোর্টে আত্মিয়স্বজনের সামনে) জানোয়ারের একটা ভাই লন্ডনে থাকে। এই বিয়েতে সে আসেনি। কারণ সে জানতো যে এই বিয়া ভুয়া। তাই সে আসেনি বিয়াতে। সে জানতো টাকা মেরে তার ভাই আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তালাক দিয়ে দেবে । এই পরিকল্পনা দুই ভাইয়ে মিলেমিশে করা । তাই সে আর আসেনি। জানোয়ার তার কিছু বন্ধুবান্ধব কে নিয়ে আসে এই বিয়েতে। যারা এই বিয়ের সাক্ষী ছিল । বিয়ের ফটোতে এইসব বন্ধুবান্ধবেরা সবাই আছে। জানয়ারের ভুয়া বিয়েতে সম্পুর্ন টাকা আমি খরচা করেছি। জানোয়ার বলেছে – তুমি ঋন করে টাকা দাও আমি পরে পরিশোধ করে দিবো। আমার নিজের বিয়ের শাড়ী, আংটি, ছিল সব চাইতে কম মূল্যের সেগুলোও আমি কিনেছি। মাঝে মাঝে ভাবি আমি কেন এই জানোয়ারকে এ্যাত বিশ্বাস করেছিলাম। জানোয়ারের অভিনয় অনেক উন্নতমানের ছিল। সে ভালমানুষের অভিনয় করেছিল । তার মত জানোয়ারের পক্ষে ভাল মানুষের অভিনয় করা ছিল সব চাইতে কঠীন কাজ । তাই সে আমাকে বেছে নিয়েছিল প্রতারণা করার জন্য।

 

৪ thoughts on “প্রতারণা চক্র – প্রতারক আনোয়ার পারভেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *