ঐতিহাসিক কোয়ার্টার নিয়ে রোমাঞ্চিত প্রবাসীরাও

ঢাকা: ভারতের বিপক্ষে আসন্ন কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে রোমাঞ্চিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনেকে পরিবারকে সঙ্গে মাঠে গিয়ে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে কোয়ার্টার ফাইনাল দেথতে যাবেন বলেও ঠিক করে রেখেছেন। আর যারা টিকেট সংগ্রহ করতে পারেননি তাদের মধ্যেও বিরাজ করছে আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও রোমাঞ্চ।

এমনই এক দর্শক শাহাদাত মল্লিক। বাংলাদেশের খেলা দেখতে সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে মেলবোর্নে এসেছেন তিনি। প্রিয় দলটিকে তার কাছে পরিবারের মতো মনে হয় বলে জানান মল্লিক।

শাহাদাত মল্লিক বলেন, ‘আমি খুব কাছ থেকে বাংলাদেশকে ইতিহাস রচনা করতে দেখেছি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবিস্মরনীয় জয়টি দেখেছি যেটি আমাদের কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ করেছে। এটি আমাদের জন্য পরম আনন্দের বিষয়।’

ভারতের বিপক্ষে কোয়াটার ফাইনাল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই বাংলাদেশী কিভাবে রোমাঞ্চে ভুগছেন- সেটাই জানালেন, ‘আমি ঢাকায় বেড়ে উঠেছি এবং আমার কিছু আত্মীয়-স্বজন বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছে। সুতরাং ক্রিকেট আমার রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি দেখার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে রয়েছি।’

গত রোববার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারেরমত কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটি গ্যালারিতে বসেই উপভোগ করেছেন মল্লিক।

নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আরেক বাংলাদেশি শওকত হোসাইন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচটি দেখেছেন। শুক্রবার হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটিও দেখেছেন তিনি। মেলবোর্নে ১৯ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালটি দেখার জন্য ইতোমধ্যেই টিকেট কিনে ফেলেছেন বলেও জানান তিনি।

শওকত হোসাইন বলেন, ‘আমি পরিবারের পাঁচজন সদস্যকে নিয়ে এসেছি। বিশ্বকাপের মতো মেগা আসরে বাংলাদেশকে ভালো খেলতে দেখাটা সত্যিই অসাধারণ।’

bangladesh-tiger-fanশওকত হোসাইন এর ছেলে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। বাবার চেয়ে তার ক্রিকেট-প্রেম কম নয়। তিনি বলেন, ‘কোয়ার্টারে আমরা ভারতকে হারাবোই, ইনশাআল্লাহ। প্রতিবারই আমরা বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতে ফিরে যাই। তবে এবার আমরা অসাধারণ কিছু করে দেখাবো।’

চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মাত্র একটি খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নুসরাত মল্লিক। শুক্রবার হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি দেখতে তিনি মেলবোর্ন থেকে হ্যামিল্টন এসেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে খেলতে দেখে রোমাঞ্চিত তিনিও।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের শুরুতে আমি বাংলাদেশকে নিয়ে বেশি আশাবাদী ছিলাম না। আমার ধারণা ছিল, বাংলাদেশ খুব একটা ভালো করতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করায় আমার ধারণা পাল্টে গেছে। ফলে আমি বাংলাদেশের সব ম্যাচ দেখার সিদ্ধান্ত নিই। মেলবোর্নে আমার ঘরের কাছেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে টাইগাইরা। সেই ম্যাচ মিস করি কীভাবে?’

আগামী ১৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ভেন্যু মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে মাশরাফি-সাকিব-মাহমুদুল্লাহর বাংলাদেশ। এই ভারতকে ২০০৭ বিশ্বকাপে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার পারলে এবার নয় কেন? আর একটি জয়ই বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পারে সেমিফাইনালে। তখন না হয় নতুন করে স্বপ্ন দেখব।

৬ thoughts on “ঐতিহাসিক কোয়ার্টার নিয়ে রোমাঞ্চিত প্রবাসীরাও

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.