বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন করেন খালেদা জিয়া। এ সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। দলের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ডা. দীপু মনি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া সহিংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকিয়ে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন। এজন্য নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে তিনি নাশকতার সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির ডাকা চলমান হরতাল-অবরোধে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। রাস্তায় গাড়ি চলছে, জন-জীবন স্বাভাবিক।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলেই খালেদাও ভোটে আসেননি। কারণ বিএনপি জামায়াত একে অপরের বন্ধু। বন্ধুকে ছাড়া খালেদা কীভাবে নির্বাচনে যাবেন? প্রশ্ন রাখেন হানিফ? বন্ধুর মন রক্ষা করতে নির্বাচনে না গিয়ে এখন সহিংসতা চালিয়ে খালেদা জিয়া দেশের মানুষকে হত্যা করছেন। একমাত্র জামায়াতের জন্যই নির্বাচনে না এসে এখন মিথ্যাচার করছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই। এখন যা হচ্ছে তা কোনো রাজনৈতিক সংকট নয়। কিছু সহিংস কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। সহিংসতাকারীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে যারা নাশকতা চালাচ্ছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
সবশেষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ও তিব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুব আলম হানিফ।
গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদের বর্ষপূর্তির দিন রাজধানীতে সমাবেশ করতে না পেরে তার গুলশান কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ থেকেই লাগাতার অবরোধের ডাক দেন খালেদা জিয়া। গত ১৯ জানুয়ারি এই কার্যালয়েই সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি। এরপর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসে খালেদা জিয়া আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
হাসিনার দালাল কি
বলে
Md Ali liked this on Facebook.
Abdur Razzak Rana liked this on Facebook.
Mohammad Jabed liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.