সমবয়সী ননদ-ভাবির আত্মহত্যা

টুকটাক ঝগড়া তো থাকতেই পারে। তারপরেও ননদ আর ভাবি যদি হয় কাছাকাছি বয়সের, তাহলে চমৎকার বন্ধুত্বও গড়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে ননদ যদি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হয় তো খুনসুটি সম্পর্ক তো হতেই পারে। কিন্তু সামান্য পারিবারিক কলহে দুজনই বেছে নেবেন আত্মহত্যার পথ- এটা মেনে নেয়া যায় না। – এভাবেই বলছিলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খাকসা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর বাড়ির লোকজন।

গেল মঙ্গলবার ওয়াজেদ আলীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে রোকসানা পারভীন টুম্পা (২৪) কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেন।

ঘটনার পরে ওয়াজেদ আলীর পুত্রবধূ ও মৃত টুম্পার ভাবি কলি বেগম (২৩) চলে যান তার বাবার বাড়ি উপজেলার চামটা গ্রামে। সেখানে অবস্থানকালে বৃহস্পতিবার রাতে তিনিও কীটনাশক পান করেন। পরে তাকে দ্রুত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে আনা হলে শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

কলি চামটা গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। কয়েক মাস আগে খাকসা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

তিন দিনের ব্যবধানে ননদ-ভাবির একই কায়দায় আত্মহত্যা করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না ওয়াজেদ আলী কিংবা সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির লোকজন।

বড়াইগ্রাম ইউনিয়নর সদস্য সাদেক আলী জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ননদ টুম্পা আর ভাবি কলির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার টুম্পা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পরেই কলি চলে যান বাবার বাড়ি চামটা গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে ননদের মতোই কীটনাশক পান করেন কলি। এরপর তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলির মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, টুম্পা রাজশাহী কলেজে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে পড়ালেখা করতেন।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুটি আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের হয়েছে।

৩ thoughts on “সমবয়সী ননদ-ভাবির আত্মহত্যা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *