দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভূমিকা রাখার দায়িত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের প্রধান অবস্থানের ওপর জোর দিলেও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ভৌগোলিক সুবিধার কারণে বাংলাদেশ এবং রাজনৈতিক সুযোগ তৈরি হতে থাকা দেশ মিয়ানমার বৃহত্তর সুযোগ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিজিওনাল অ্যাফেয়ার্স উপপরিচালক নেইল ক্রমাস এ কথা বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ‘বিল্ডিং প্যান এশিয়ান কানেকটিভিটি’ শীর্ষক একটি সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ভারতের সংবাদপত্র ‘ইন্ডিয়া গেজেট’ আজ বুধবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ক্রমাস বলেন, ‘আঞ্চলিক যোগাযোগের (কানেকটিভিটি) আলোচনায় অনেক সময় বাংলাদেশের কথা দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। চীন, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরের সংযোগস্থলে কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সুবিধাজনক ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে। আর এটিই দেশটিকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আদর্শ কেন্দ্রে পরিণত করেছে।’
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে ক্রমাস বলেন, রাজনীতির এ অস্থির সময়েও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়ে মার্কিন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রেখে চলবে।’
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন ক্রমাস। তিনি বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মিয়ানমারের সম্ভাবনা অনেক।’ ভবিষ্যতে পণ্য ও সেবা সরবরাহ করার ক্ষেত্রে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে তিনি জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘পূর্বে দেখ’ (লুক ইস্ট) পরিকল্পনা থেকে ‘পূর্বে বিরাজ’ (অ্যাক্ট ইস্ট) পরিকল্পনায় সরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রমাস। এতে করে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের পূর্বাঞ্চল সংযোগের মাধ্যমে উপকৃত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Mizanur Rahaman liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.
Amir Khan Amir liked this on Facebook.
Ali Imran Shamim liked this on Facebook.