ঢাকা: চলতি বিশ্বকাপের ফর্ম আর নিকট অতীতের পরিসংখ্যান বিবেচনায় ইংল্যান্ডের থেকে এগিয়ে রাখাই যায় মাশরাফির বাংলাদেশকে। চার ম্যাচের তিনটিতেই পরাজয়ের তিক্ততায় দেয়ালে একেবারে পিঠ ঠেকে গেছে ইয়ন মরগ্যানের দলের। তাদের সামনে এখন একটাই পথ-জেতো না হয় বাড়ি ফেরো। দলটির কোচ পিটার মুরসও স্বীকার করলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে চাপটা তার দলের উপরই।
প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই পরাজয়, একমাত্র স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা ইংলিশদের এখন শেষ দুই ম্যাচে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানকে হারানোর বিকল্প রাস্তা খোলা নেই।
সোমবারে তাই ইংল্যান্ডের সামনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। মুখে না বললেও চাপটা তো এসেই পড়ে এমনিতেই! মুরস অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেননি, ‘নিশ্চিতভাবেই দল হিসেবে আমাদের উপর চাপ রয়েছে। কারণ আমরা ততটা ভালো খেলতে পারিনি, যতটা আমরা খেলতে পছন্দ করতাম। জানি আমাদের ম্যাচ জিততে হবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলোয়াড়দের চাপ সামলাতে হয় এবং চাপের মুখে খেলাটাই তাদের কাজের অংশ। তাই খেলোয়াড়দের জন্য এটাই হবে চ্যালেঞ্জ। আমরা এটা জানি এবং আমার বিশ্বাস, চ্যালেঞ্জটা উৎরে যেতে পারব।’
মুরস মনে করছেন, বিশ্বকাপের মত বড় আসরে অংশ নিয়ে তার দলের তরুণ খেলোয়াড়রা অনেক কিছু শিখেছেন। এখন তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তা দেখানোর সময়, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা শক্তসামর্থ্যদের জন্য। এখানে আপোসের সুযোগ নেই। আমাদের দলে কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় আছেন, যাদের দায়িত্ব অন্যদের সাহায্য করা। তরুণদের মধ্যে কয়েকজন কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের উচিত ওই খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে সাহায্য করা। তবে তারা ঘুরে দাড়িয়ে কিছু করতে সক্ষম হবে।’
যদিও মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশের থেকে অনেকটা এগিয়ে ইংল্যান্ড। তবুও সাম্প্রতিক অতীত কথা বলছে টাইগারদের পক্ষেই। দুই দলের সর্বশেষ ৩ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে ২টিতেই। এর মধ্যে আবার সর্বশেষ জয়টি ছিল গত বিশ্বকাপ আসরেই। সোমবারের ম্যাচটি কি তবে ইংল্যান্ডের জন্য প্রতিশোধের? মুরস মনে করছেন, চার বছর আগের হারা ওই ম্যাচে কোনো প্রভাবই ফেলবে না, ‘আমাদের দলে এখন অন্য খেলোয়াড়। তাদের চিন্তা এখন কিভাবে ভালো খেলতে হবে তা নিয়ে। কিভাবে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারব এটা নিয়েই ভাবছি। আমাদের কাছে এই বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে অফফর্মে থাকা গ্যারি ব্যালান্সের পরিবর্তে অ্যালেক্স হেলসের অন্তর্ভূক্তির দাবি উঠছে জোরোসোরেই। তবে ম্যাচের আগের দিনও সেরা একাদশ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি মুরস, ‘আমরা জানি একাদশ কি হবে। টসের সময়ই সেটা ঘোষণা করব। ম্যাচটি জয়ের জন্য অবশ্যই আমাদের সেরা একাদশই বেছে নিতে হবে। আমরা জানি আগামীকাল (সোমবারঘ আমাদের বড় একটি ম্যাচ।’
অ্যাডিলেড ওভালের পিচটি সাধারণত ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই কথা বলে। ইংল্যান্ড কোচ তো আগামই ভবিষ্যৎবাণী করে দিয়েছেন, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের লড়াইটি হাইস্কোরিং একটি ম্যাচই হতে যাচ্ছে।
মোঃ শহিদুল আলম liked this on Facebook.
Sarowar Islam liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.
Santy Babou liked this on Facebook.
MD Masud Rana liked this on Facebook.