এক যৌনদস্যুর কাণ্ড…

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা আর সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। আবার কখনও ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকি দিয়ে নির্যাতিতাকে জিম্মি করে দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনাও পত্রিকায় প্রকাশ পায়। তাছাড়া ধর্ষণ ভিডিও বাজারে ছাড়ার নাম করে ধর্ষিতার পরিবার থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের চেষ্টাও করা হয়।

তবে কোনো স্কুলছাত্রীকে কৌশলে ধর্ষণ ও ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকি দিয়ে তার মায়ের কাছে অর্থ দাবির পাশাপাশি আরেকবার ধর্ষণের ইচ্ছা জানানোর ঘটনা বোধ হয় এটাই প্রথম।

ধর্ষকের এমন ‘সাহস’ দেখে স্তম্ভিত মা অবশেষে আশ্রয় নিয়েছেন থানায়। ঘটনাটি আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌর সভার দাইরাদী গ্রামের।

ঘটনার নায়ক (!) যুবকটির নাম সোহেল। সে দাইরাদী গ্রামের ফারুকের ছেলে। আর নির্যাতিত কিশোরী গোপালদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪)।

মামলার বরাত দিয়ে আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন জানান, বছর খানেক ধরে বখাটে সোহেল স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে রাজী না হওয়ায় গেল বছরের ২২ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ছাত্রীটি সোহেলের বাড়ির পাশ দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় মধ্যবয়সী এক নারীকে দিয়ে তাকে একটি বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে সেখানে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘণ্টা খানেক ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সোহেল। এ সময় কৌশলে তা ভিডিও চিত্রে ধারণ করে।

ঘটনার পর থেকে সোহেল বহুবার ছাত্রীটিকে তার সঙ্গে দৈহিক মিলনে বাধ্য করতে চেষ্টা করে। তবে তা করতে না পেরে ধর্ষিতা ছাত্রীর মাকে হুমকি দিয়ে নগদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে ধর্ষক সোহেল। সেই সঙ্গে তার মেয়েকে আরেকবার ধর্ষণ করার সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করে। না হলে তার মেয়ের ধর্ষণ ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়ে দেয়। এতে ছাত্রীর মা স্তম্ভিত হয়ে যায়।

বেশি কিছুদিন ধরে চাপাচাপি করার পরেও প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অবশেষে সম্প্রতি ধর্ষণ ভিডিওটি ইন্টারনেটে আপলোড করে ধর্ষক সোহেল। এতে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী।

শনিবার সকালে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।

One thought on “এক যৌনদস্যুর কাণ্ড…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *