বিশ্ব নারী দিবসে আমার বেশী কিছু বলার নাই। সুরা নিসা থেকে আমরা জানতে পারি – আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন ধুলো থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। নারী ও পুরুষ উভয়কেই যার যার দায়িত্ব দিয়েছেন। যার যার দায়িত্ব সে সে পালন করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়। একজন নারী প্রথমে মানুষ তারপর নারী তারপর মা। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের সব চাইতে সুন্দর সৃষ্টি হলো নারী। নারীকে শ্রদ্ধা করার জন্য, প্রতিরক্ষা করার জন্য, পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দেওয়া আছে। নারী সন্তান ধারন করেন ও লালন পালন করে্ন যা পুরুষেরা করতে অক্ষম তাই পুরুষের দায়িত্ব হলো নারী্র রক্ষণাবেক্ষণ ও ভরন পোষন করা। কোন নারী যদি উপার্জন করে সংসারে স্বামীকে সাহায্য করে তাহলে সেটাকে বলা হয় নারীর বদান্যতা বা চ্যারিটি। সেটা নারীর দায়িত্ব না। নারীর উপার্জনের উপরে পুরুষের হক নেই তবে নারী যদি ইচ্ছা করে তাহলে সংসারে তার উপার্জন ডোনেশন হিসাবে দিতে পারে। অনেক পুরুষই মনে করে নারীরা তাদের দাসী। সেটা ভুল । পুরুষেরা যেমন বাইরে পরিশ্রম করে নারীরা তেমনি ঘরে পরিশ্রম করে। সেজন্য সন্তান প্রসবকে ইংরেজীতে “লেবার” বা শ্রম বলা হয়। ঘরে বাইরে সকল শ্রমের মূল্যায়ন করাকেই বলা হয় নারী পুরুষের সমঅধিকার। যেহেতু পুরুষেরা সন্তান ধারন, বহন ও প্রসব করতে অক্ষম তাই তাদের কাজ হলো পরিশ্রম করা, উপার্জন করে নারী ও সন্তানদের ভরনপোষন ও প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করা। এইটা হলো পুরুষের দায়িত্ব। পুরুষের উপরে আল্লাহ্ এই দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দায়িত্ব পালন করে পুরুষ নারীকে কোন করুনা করছেনা বরং তাদের অক্ষমতার জন্য ক্ষতিপুরণ দিচ্ছে। নারী পুরুষ একজন আর একজনের পরিপূরক। তাই কেউ যদি ভাবে নারীরা পুরুষের সম্পত্তি তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখনই পুরুষেরা তাদের সীমা অতিক্রম করে। তখনই পুরুষেরা আল্লাহ্র নির্দেশিত পথে থেকে সরে যায়। নারী বা পুরুষ কেউই পন্য নয় । দুইজনেই মানুষ। একজন অন্যজনকে পন্য হিসাবে অপব্যবহার করলে সমস্যা কমবেনা বরং বৃদ্ধি পাবে।
সমাজে নারী পুরুষেরা যদি যার যার দায়িত্ব সে সে পালন করে তাহলে অধিকার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। কেউ কারু সম্পত্তি না। বরং দুইজনে মিলে একটি টিম বা পরিবার গঠন করতে পারে। একটি টিমের সব সদস্য যদি তাদের সাধ্যমত টিমের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য অবদান রাখে তাহলেই সেই টিম সফল ও সমৃদ্ধশালী হতে পারে। সমাজকে একটি টিম হিসাবে যদি দেখা যায় এবং সমাজের সদস্যরা সবাই যদি নিজেদের নারী ও পুরুষ হিসাবে পৃথকভাবে না দেখে সবাইকে প্রথমে মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করে তাহলে মানুষের জন্য মানবিক অধিকারগুলো প্রতিষ্টিত করতে পারবে। অধিকারের সাথে দায়িত্ব ও কর্তব্য জড়িত রয়েছে। অধিকার পেতে গেলে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।
একজন পুরুষ যদি একজন নারীর অনুমতি ছাড়া তার দেহ ভোগ করে তাহলে সেই কর্মকান্ডকে “ধর্ষন” বলা হয়। একজন মানুষ যদি অন্য একজন মানুষের মানবিক অধিকার ছিনিয়ে নেয় বা মানবিক অধিকারগুলো পাবার পথে বাঁধা সৃষ্টি করে তাহলে সেই কর্মকান্ডকেও “ধর্ষন” বলা হয়। একটি শারীরিক ধর্ষন অন্যটি মানসিক ধর্ষন। নারীকে নারী হিসাবে নয় মানুষ হিসাবে সন্মান করতে হবে। কোন মানুষ আকাশ থেকে পড়েনি নারী ও পুরুষ সবাইকে নারীই জন্ম দিয়েছে। নারীকে দিয়েই শুরু হয়েছে সৃষ্টি সৌন্দর্য। সেটা স্বীকার করতে হবে। যৌনাঙ্গের পার্থক্য দিয়ে কেউ পরিচিত হতে চায়না।
আমরা সবাই মানুষ হিসাবে পরিচিত হতে চাই।
Md Fahad Abdullah liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.