ঢাকা: স্বঘোষিত ধনকুবের ও রহস্যময় চরিত্রের অধিকারী মুসা বিন শমসেরের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গাজীপুর এবং ঢাকার সাভারে তার নামে পাওয়া গেছে ১৭শ’ বিঘা জমি। এখন এসব জমির রেকর্ড-পত্র হস্তগত করার চেষ্টাও করছে দুর্নীতি বিরোধী এই প্রতিষ্ঠান।
আর এসব বিষয়ে জানতে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে করা হতে পারে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিত্ব প্রিন্স খ্যাত এই মুসা বিন শমসেরকে।
দুদক সূত্র জানায়, সুইস ব্যাংকে ৫১ হাজার কোটি টাকা ফ্রিজ রয়েছে বলে দাবি করেন মুসা বিন শমসের। এই টাকা ছাড় করাতে পারলে পদ্মাসেতুও নির্মাণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বিষয়টি দেশে ব্যাপক কৌতূহল ও রহস্যের জন্ম দেয়।
দেশ বিদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-সূত্র ধরে মুসা বিন শমসেরের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী এই অনুসন্ধান কাজ করছেন। অনুসন্ধান পক্রিয়ায় ইতিমধ্যে গত বছর ১৮ ডিসেম্বর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, মুসা বিন শমসেরের দুদকে জিজ্ঞাসাবাদে জনশক্তি রপ্তানি, আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য, নিলাম ব্যবসা, জ্বালানি তেল ব্যবসা রয়েছে বলে দাবি করলেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দেননি। দেশে কোনো ব্যাংক ব্যালেন্স নেই বলে জানান তিনি।
এ কারণে মুসা বিন শমসেরের ভাষ্য মতে দেশ থেকে কোনো টাকা পাচার হয়েছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি দুদক। এদেশে তার সম্পদ বলতে শুধু ফরিদপুরের পৈতৃক ভিটায় দোতালা একটি বাড়ি, গুলশান-১ এ কয়েক বিঘা জমির উপর একটি বাড়ি এবং ডেটকো নামে একটি অফিসের কথা জানা যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা করছে দুদক।
তবে সম্প্রতি দুদকের অনুসন্ধানে গাজীপুরের কয়েকটি মৌজায় এবং সাভারে তার নামে এক হাজার সাত’শ বিঘার জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক তিন হাজার কোটি টাকা। মুসা বিন শমসের এসব জমি ১৯৭৩ সালে কিনেছেন। যার অধিকাংশ এখন বেদখলে। কিন্তু এসব জমির দলিলপত্র তার হাতে রয়েছে। আর এর ভিত্তিতে এখন এসব জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন তিনি।
সূত্রটি জানায়, তিনি কীভাবে এসব জমির মালিক হলেন এবং কীভাবেই বা এত টাকা পেলেন- এসব বিষয়ে জানতে আবারও তলব করা হতে পারে মুসা বিন শমসেরকে।
উল্লেখ্য, এর আগে মূসার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তার ব্যাবসায়িক অংশীদার ব্যবসায়ী ও বৈশাখী টেলিভিশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) টিপু আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
Arafat Rian liked this on Facebook.
Ahamed Alam liked this on Facebook.
Mohammad Aman liked this on Facebook.
Mahbub Samol liked this on Facebook.
Sohag Rana liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.