র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, চলমান গণহত্যা ও পেট্রলবোমার সন্ত্রাস ধর্মীয় জঙ্গিবাদীদের উসকে দিচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থেকে তিন জঙ্গি আটকের পর আজ শনিবার দুপুরে র্যাব-৭ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, গতকাল শুক্রবার রাতে জঙ্গিদের আটকের খবর পেয়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে র্যাবের মহাপরিচালক হেলিকপ্টারযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় গোল্ডেন কমপ্লেক্স আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৭৬টি হ্যান্ডগ্রেনেড সদৃশ তাজা বোমা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, গোলাবারুদ এবং এক নারীসহ মোট চারজনকে আটক করে র্যাব। এ সময় ফ্ল্যাটে মজুদ রাখা বিস্ফোরকগুলো জব্দ করে র্যাব।
বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশে বর্তমানে যে গণহত্যা, পেট্রলবোমার সন্ত্রাস চলছে, তা অন্যান্য সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছে এবং জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জোগাচ্ছে। তাঁরা দেশটাকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
সাংগঠনিক পরিচয় কিংবা এদের নেটওয়ার্কের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আগে যাদের ধরা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আল-কায়েদা কিংবা আইএসের নেটওয়ার্ক আছে কিনা সেটা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আজ যাদের আটক করা হলো তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই আমরা তাদের পরিচয়টা জনসম্মুখে আনতে চাইছি না।’
জঙ্গি তৎপরতার নেটওয়ার্ক শক্তিশালী উল্লেখ করে র্যাবপ্রধান বলেন, ‘এদের সঙ্গে অবশ্যই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক আছে। এত বড় আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মযজ্ঞ, এ জন্য তো আর্থিক সাহায্য, গ্লোবাল রিলেশন (বৈশ্বিক যোগাযোগ) প্রয়োজন। এই জঙ্গিদের দেশীয়, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কাদের কাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।’
বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, ‘জঙ্গিদের অর্থদাতা, গডফাদার এবং পূর্ণাঙ্গ নেটওয়ার্ক তদন্তের মাধ্যমে তুলে আনব। আটকদের কাছ থেকে ফ্লাস্ক আকৃতির বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। যে কেউ এ ধরনের একটি বোমা হাতে নিয়ে ঘুরলে মনে হবে, শিশুদের স্কুলের ফ্লাস্ক। অথচ এটা মারাত্মক প্রাণঘাতী বিস্ফোরক।
Rasel Akash liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.
Hafizur Rahman liked this on Facebook.