রামপালে বন্ধুর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে সতেরো বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে চার যুবক। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ সেলিম মোল্লা (২৪) নামে এক যুবককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করলেও বাকি তিনজন পালিয়ে গেছে। এসময় নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের গৌরম্ভা গ্রামের জনৈক হাজী জুলফিকার আলীর বাড়ির বাগানে গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার কিশোরী বাদী হয়ে রামপাল থানায় সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। সেলিম মোল্লা গৌরম্ভা গ্রামের আমানত মোল্লার ছেলে।
শনিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
রামপাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রামপালের গৌরম্ভা গ্রামের নয়ন নামে এক ছেলের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে ওই কিশোরীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রধরে শুক্রবার বিকেলে নয়ন মেয়েটিকে রামপালে আসতে বলে। বন্ধুর ফোন পেয়ে সরল বিশ্বাসে মেয়েটি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শিয়ালীডাঙ্গা গ্রাম থেকে রামপালে চলে আসে। নয়ন ও তার আরেক বন্ধু প্রদীপসহ দুজনে মেয়েটিকে নিয়ে রামপাল উপজেলার আদাঘাট এলাকায় ঘুরতে যায়। এর মধ্যেই সন্ধ্যা নেমে এলে তারা তিনজন মিলে গৌরম্ভা গ্রামে রওনা দেয়। গ্রামে পৌঁছলে নয়নের পূর্ব পরিচিত সেলিম, লোকমান, বাবুল ও সেন্টু তাদের পথরোধ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় নয়ন ও প্রদীপকে চলে যেতে বাধ্য করে তারা। পরে ওই চার যুবক মিলে মেয়েটিকে গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে নয়ন ও প্রদীপ বিষয়টি গ্রামবাসী জানালে তারা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানায়। পুলিশ সেখানে গিয়ে সেলিমকে গ্রেপ্তার ও ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনবন্ধু মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বাকার করে সেলিম। অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
Md Azizul liked this on Facebook.
Md Saidul liked this on Facebook.
Ali Imran Shamim liked this on Facebook.