ঢাকা: বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতের উন্নয়নে অংশীদার হতে চায় কানাডা। একইসঙ্গে ঢাকা-টরেন্টো সরাসরি বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায়ও আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।
সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়েরে লাঘামে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে দেখা করে তার দেশের এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। পিয়ারে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
হাইকমিশনার দেশের চলমান রাজনীতি সম্পর্কে বলেন, ‘এটা বাংলাদেশিদের সমস্য, তারাই এ সমস্যার সমাধান করবে।’
এছাড়াও আলোচনায় দ্বীপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা মত বিনিময় করেন ।
বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কানাডা বাংলাদেশের এক পরীক্ষিত বন্ধু দেশ।’
তিনি দেশের বিমান ও পর্যটনখাতসহ বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশের বিমান পরিবহনখাতকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন, ভুটান ও নেপালের মধ্যে বিমান যোগাযোগ সহজতর করতে সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আঞ্চলিক বিমান বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে, বাংলাদেশকে এশিয়ার বিমান পরিবহনের অন্যতম পোতাশ্রয় (হাব) হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর তৈরি করার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে।’
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতি সহসাই এখানকার জীবন যাত্রা পাল্টে দেবে।
তিনি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহনখাতের উন্নয়ন বিশেষ করে পিপিপির আওতায় বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়নে অংশীদার হতে তার সরকারের গভীর আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন ।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনোয়োগের জন্য আদর্শ স্থান। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনখাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে কানাডিয় বিনোয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে তিনি যথাযথ ভূমিকা গ্রহনে হাইকমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেন ।
রাজধানীর হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন শপিংমল পরিদর্শন করে হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ এতো আধুনিক তা ঢাকা আসার আগে ভাবতেও পারিনি।’
Mamun Ahmed liked this on Facebook.
Mahbub Samol liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.