আওয়ামী লীগের এমপি তারানা হালিম, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাট্য ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাদের চৌধুরী,অভিনেতা জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী ও তুষার খান, রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরের কাছে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করে পেট্রোল বোমায় আহত ও নিহতের তালিকা টানানোর ঘটনায় – জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন – তিনি বলেন এই পীযুষ ও হাসান ইমাম গংদের আহবান জানাচ্ছি তারা যদি নিজেদের নিরেপক্ষ সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি মনে করেন তাহলে অনতিলম্বে যাদেরকে ক্রসফায়ার, হত্যা, গুম করা হয়েছে এবং শত শত কর্মী পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তাদেরও একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কায্যালয়ের সামনে টানিয়ে দেওয়া হউক তা নাহলে আমরা মনে করবো তারা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন তথাকথিত এই সকল সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিরা সরকারের মুল নকশা বাস্তবায়ন করার জন্য যারা গিয়েছিলেন তাদের অনেকে ব্যাক্তিগত ভাবে আমাদের জানিয়েছেন-” তারা যেতে বাধ্য হয়েছেন কারন সরকার তাদের জোড় করে সেখানে পাঠিয়েছেন। তারপরও আমি মনে করি যেহেতু তারা গিয়েছিলেন তারা যেন অনতিলম্বে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে যারা গুম গুন হয়েছেন তাদের তালিকাও যেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সামনে টানাবেন অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ প্রতিরোধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন এইসব ঘটনায় যেসকল নেতারা সম্পদ বাঁচানোর জন্য সরকারের সাথে আঁতাত করে ঘরে চুপচাপ বসে আছেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার বন্দি অবস্থায় দেখেও অবিলম্বে রাজপথে না নামেন তাদেরকেও প্রতিরোধ করা হবে।
জাসাস নেতা তার প্রতিবাদ লিপিতে আরও বলেন পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা অবশ্যই নিন্দনীয় যা সরকার ও তাদের শরিক জাসদসহ যারা ৭২ থেকে ৭৫ পযন্ত এই দেশে ধ্বংসকান্ড করেছে তারাই এই গুলি ঘটাচ্ছে।
আমি পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা যেমন আমি নিদা করি পাশাপাশি বিনা বিচারে মানুষ হত্যা ও গুম করাকেও তীব্র নিন্দা জানাই ।
জিখান/প্রবাসনিউজ২৪.কম