ঢাকা: ম্যানইউর একটাই সমস্যা। একবার এগোয় তো আরেকবার পিছাতে হয়। একটা-দুটা ম্যাচ জিতে নিজেদেরকে একটা লড়াইয়ে তুলে আনে রেড ডেভিলরা। আবার কোন না কোন ম্যাচে হেরে কিংবা ড্র করে পয়েন্ট খুইয়ে পেছনে পড়ে যেতে হয়। এবারও ঠিক একই কাণ্ড ঘটিয়েছে লুই ফন গালের শিষ্যরা। লিবার্টি স্টেডিয়ামে গিয়ে স্বাগতিন সোয়ানসি সিটির কাছে ২-১ গোলে পরাজয় বরণ করে আসতে হলো ওয়েন রুনি-রবিন ফন পার্সিদের।
ম্যানইউর মত হেরে যায়নি, তবে ১০জনের দলে পরিণত হয়ে ২ পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছে টেবিলে শীর্ষে থাকা চেলসিকেও। নিজেদের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজেই পয়েন্ট তালিকায় ১৮ নম্বরে (রেলিগেশনে) থাকা বার্নলের সঙ্গে ড্র করতে হয়েছে ১-১ গোলে।
ম্যাচের ৭০ মিনিটেই ঘটনাটা ঘটে। চেলসির সার্বিয়ান তারকা নেমানজা ম্যাটিচ ট্যাকল করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে লাথি মারেন বার্নলের অ্যাশলে বার্নেসকে। এই অপরাধে রেফারি মার্টিন অ্যাটকিনসন্স সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন ম্যাটিচকে।
তবে ক্ষুব্ধ এই চেলসি ফুটবলার বার বার উড়ে আসতে চাইছিলেন বার্নেসের দিকে। তাকে নির্ভত করতে দেখা যায় জন টেরি এবং কার্ট জুমাকে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সামনে পড়তে পারেন ম্যাটিচ। একই সময় রেফারির লাল কার্ডের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে হলুদ কার্ডের শিকার হন ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচও।
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পরই মূলতঃ পয়েন্ট হারিয়ে বসে চেলসি। ১৪ মিনিটে ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের গোলে এগিয়ে থাকা চেলসির সঙ্গে বার্নলেকে ৮১ মিনিটে সমতায় ফিরিয়ে আনেন বেঞ্জামিন মি।
১৪ মিনিটে এডিন হ্যাজার্ডের পাস থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে দুর্দান্ত এক শটে বার্নলের জালে বল জড়ান ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচ।
লিবার্টি স্টেডিয়ামে শুরুতেই অবশ্য গোল দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানইউ। ২৮ মিনিটে গোলটি করেন আন্দ্রে হেরেরা। কিন্তু ২ মিনিট পরই হঠাৎ করে গোল হজম করে বসে লুই ফন গালের শিষ্যরা। সোয়ানসি সিটির পক্ষে গোলটি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা কি সুং ইয়েং।
১-১ এ সমতাতেই এগিয়ে যাচ্ছিল ম্যাচটি। কিন্তু ৭৩ মিনিটে বেফাটিম্বি গোমিজ গোল করে এগিয়ে দেন সোয়ানসিকে। শেষ পর্যন্ত এই এক গোলের কারণেই ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো সোয়ানসি।
Md Azizul liked this on Facebook.