আগৈলঝাড়া উপজেলার বুদার বাইপাস সড়কে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের ২ নেতা নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- আগৈলঝাড়া নগরবাড়ী এলাকার হোসেন মোল্লার পুত্র উপজেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির মোল্লা (৩৫) ও একই এলাকার মতিউর রহমান হাওলাদারের পুত্র উপজেলা ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক টিপু হাওলাদার (২৫)। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের অঙ্গসংগঠনের ২ নেতাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত ২ নেতার বিরুদ্ধে ৯ই ফেব্রুয়ারি রাতে বরিশালগামী ফলবোঝাই পিকআপে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, ১৪ই জানুয়ারি রাতে বিআরটিসি বাসে অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতনসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। পেট্রলবোমা হামলার ঘটনার পরপরই তারা ঢাকায় আত্মগোপন করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের একটি দল শুক্রবার ঢাকার আশুলিয়া থেকে কবির মোল্লা ও কেরানীগঞ্জ থেকে টিপু হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার গভীর রাতে আগৈলঝাড়ায় নিয়ে আসা হয়। স্বীকারোক্তি মতে টিপু ও কবিরকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সহযোগীদের ধরার জন্য শুক্রবার রাতে আগৈলঝাড়ায় অভিযানে নামে পুলিশ।
রাত আড়াইটার দিকে আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ আসামিদের নিয়ে বুদার এলাকার বাইপাস সড়কে পৌঁছলে সহযোগীরা পুলিশের দিকে পেট্রলবোমা ও গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত কবির ও টিপু হাওলাদার পালিয়ে যাওয়ার সময় ক্রশফায়ারে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ও কনস্টেবল রাজু আহত হয়েছেন। তাদের আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫টি পেট্রলবোমা, ২টি রামদা, ১টি বল্লম, ১টি চাপাতি উদ্ধার করে। নিহত ২ যুবদল নেতার লাশ ময়না তদন্তের জন্য গতকাল সকালে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, বিএনপিকে নির্মূল করার প্রক্রিয়া হিসেবে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে সরকারের মদদপুষ্ট পুলিশ বাহিনী আগৈলঝাড়ার কবির মোল্লা ও টিপুকে খুন করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম এহসান উল্যাহ বলেন, নিহতরা আগৈলঝাড়ায় ফলবাহী পিকআপে পেট্রলবোমা হামলার তালিকাভুক্ত আসামি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের সহযোগী, নির্দেশদাতা ও অর্থদাতাদের নাম প্রকাশ করেছে। সে অনুযায়ী শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ টিপু ও কবিরকে নিয়ে অভিযান চালানোর সময় গোলাগুলির মধ্যে পড়ে তারা নিহত হয়েছে।
One thought on “বিএনপির অঙ্গসংগঠনের ২ নেতাকে ক্রশফায়ারে হত্যা”