জাতিসংঘের সংবাদ-সম্মেলনে আবারও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

জাতিসংঘের নিয়মিত সংবাদ-সম্মেলনে আবারও উঠে এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিকের কাছে বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বান কি-মুনের চিঠি পাঠানোর ইস্যুটি নিয়ে জানতে চাওয়া হয় ডুজাররিকের কাছে। এখানে সেই অংশটুকু উপস্থাপন করা হলো:

প্রশ্ন: গতকাল বাংলাদেশ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম এবং কিছু উত্তর পেয়েছি। রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার একটি চিঠি পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে। তারা বলছেন, ২ দিন আগে তারা চিঠিটি পেয়েছেন। কিন্তু, অন্যান্য বিবরণ অনুযায়ী, গত ৩০শে জানুয়ারি ওই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। জাতিসংঘ প্রতিনিধির কাছে বাংলাদেশ সরকার জানতে চেয়েছে, চিঠিটি পৌঁছতে ২ সপ্তাহ সময় লাগলো কেন। আপনি কি চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন? চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনি কি কোন কিছু বলতে পারেন? ওই চিঠিতে কি লেখা রয়েছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বান কি-মুনের চিঠি পৌঁছাতে দুই সপ্তাহ লাগার খবর কি সত্যি?

মুখপাত্র: আমি চিঠির বিষয়টি দেখবো। দেখি আমরা চিঠিটির ব্যাপারে আপনাকে কি জানাতে পারি। এসব চিঠির ক্ষেত্রে আদর্শ পদ্ধতি হচ্ছে, যদি এ ধরনের কোন চিঠি থাকে, সেটি এখানকার স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় এবং তারপর স্থায়ী মিশন পুনরায় চিঠিটিকে রাজধানীতে পুনঃপ্রেরণ করে।

প্রশ্ন: চিঠিটি থেকে উদ্ধৃত করে তারা বলছেন, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। কেউ কেউ মনে করেন, এটি জাতিসংঘকে এক ধরনের কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। বেশ প্রয়োজনীয় শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য ধন্যবাদ দেয়া এবং একই সঙ্গে সড়কে সহিংসতার জন্য কাউকে দায়ী করার চেষ্টা- এ দুটি বিষয়ের মধ্যে কি ধরনের সামঞ্জস্য রয়েছে?
মুখপাত্র: আমার মনে হয়, আপনি এ দুটিই করতে পারেন। তবে আপনার জন্য আমি চিঠির বিষয়টি দেখবো।

আতিক/প্রবাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *