মিয়ানমারের কোকাং অঞ্চলে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। কোকাংয়ে ৩ মাসের সামরিক শাসনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। গতকাল থেইন সেইনের স্বাক্ষরিত দুটি ঘোষণাপত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পড়ে শোনানো হয়। জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামাতে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এপি।
সম্প্রতি ৫ বছরের নির্বাসন শেষে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আর্মি দলের প্রধান ও কোকাং বিদ্রোহী নেতা দেশে ফেরেন। এরপর থেকেই সংঘাত শুরু হয়। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৪৭ সেনা সদস্য ও ২৬ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত সীমান্তপথে চীনে আশ্রয় নিয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। উদ্বাস্তুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার আশঙ্কা করছে চীন। এদিকে রাষ্ট্রীয় দৈনিক সংবাদপত্র মিয়ানমার আহলিন জানিয়েছে, মিয়ানমার রেড ক্রসের একটি গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। ৭টি গাড়ির ওই বহরে ১০০ বেসামরিক মানুষ ছিলেন। রেড ক্রসের পতাকা থাকা সত্ত্বেও এ হামলা হয়।
এতে রেড ক্রসের এ কর্মী ও এ ট্রাক-চালক আহত হন। কোকাং বিদ্রোহীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে নিন্দা জানানো হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। থেইন সেইনের নির্বাচিত সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে। কোকাংয়ের আগে রাখাইন প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও রাখাইন মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। তবে সাময়িকভাবে কোন অঞ্চলে সেনা শাসনের ঘোষণা এটাই প্রথম।
আতিক/প্রবাস