কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে থাকা মসজিদের ইমাম মাওলানা বেলাল ও মাওলানা আবু ইউসুফ এর পা কেটে ফেলা হয়েছে।
তারা এখন পঙ্গু অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল আযিম অস্ত্রোপচার করে তাদের পা কেটে ফেলে দেয়।
জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে জামায়াত কর্মী মাওলানা বেলাল কে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ গুলি করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে পুলিশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপতালে কারা ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে রেখে চলে যায়। এরপর মাওলানা বেলালের পরিবার থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করলে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বেলালের পরিবার।
বেলালের পরিবারের দাবি প্রশাসনের অবহেলা ও উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়ার কারণে তার পা কেটে ফেলা হয়েছে। মাওলানা বেলাল নাঙ্গলকোট উপজেলার কাজীর বাম জামে মসজিদের ইমাম। তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।
অপরদিকে গত ২ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মিয়ারবাজার এলাকা থেকে মাওলানা আবু ইউসুফকে আটক করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। থানায় নিয়ে দুই দিন রেখে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত আদালতে প্রেরণ না করে বুধবার গভীর রাতে থানা থেকে বের করে তাকে বাস পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পায়ে গুলি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশই তাকে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে।
আটক মাওলানা আবু ইউসুফ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম।
আতিক/প্রবাস