গলাকেটে হত্যা করা হতে পারে এমন আতঙ্কে ভুগছেন নির্বাসিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গত শনিবার একটি সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলার পর এমন আতঙ্ক ভর করেছে তাকে।
ওইদিন কোপেনহেগেনের একটি ক্যাফেতে মতপ্রকাশের অধিকার নিয়ে একটি সমাবেশটি চলছিল। হামলায় একজন নিহত এবং তিন জন আহত হয়।
তসলিমা নাসরিন কোপেনহেগেনের ঘটনার পর মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে তার ভীতির কথা জানান। তিনি তার পেজে লিখেছেন, ‘কোপেনহেগেনের ঘটনার পর ভয়ে সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার শিকার ফ্রান্সের ব্যঙ্গপত্রিকা শার্লি এবদোতে পাঠানো একটি লেখা ফেরত এনেছি।’
লেখা ফেরত নিয়ে নিজেকে ভীতু প্রতিপন্ন করে তিনি অনুশোচনাও করেছেন। তবে এই মুহূর্তে কোনোপ্রকার ঝুঁকি নিতে চান না। তার অনেক কাজ বাকি তাই এত দ্রুত মরতেও চান না বলে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন।
তসলিমা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘একটা খুব ভীতুর কাজ করলাম। কাল শার্লি এবদোকে বলে দিলাম আমার লেখাটা যেন না ছাপায়। সম্পাদকমণ্ডলী শার্লি এবদোর জন্য আমার লেখা চেয়েছিলেন। দিয়েওছিলাম, যেটা কথা ছিল ফেব্রুয়ারীর ২৫ তারিখে ছাপা হবে। কিন্তু কোপেনহেগেনএ সন্ত্রাসী আক্রমণ হওয়ার পর মনে হলো আমাকে সন্ত্রাসীরা এমনিতেও জবাই করবে, ওমনিতেও করবে, কিন্তু শার্লিতে আমার লেখা দেখলে ওরা হয়ত দ্রুত জবাইয়ের কাজটা সারবে। হয়ত এ মাসেই। এত শীঘ্র মরলে চলবে! আমার তো আরো অনেক কাজ বাকি। আর কেই বা অকালে মরতে চায়! কিন্তু মরতে চাই না বলে এই আ ইএসের যুগে মুখ বুজেও তো কখনো বসে থাকিনি। শার্লি এবদো থেকে লেখাটা সরিয়ে নিয়ে জানি না আমার কতটুকু ভালো হলো, তবে নিজেকে ভীতু বলে ভাবতে খারাপও লাগছে।’
আতিক/প্রবাস