শুরুতে ভয়ঙ্কর মাশরাফি, রুবেল

শুরুতেই তিন উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে চাপে রেখেছেন বাংলাদেশের দুই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেন।

১০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪ রান। নওরোজ মঙ্গল ৪ ও সামিউল্লাহ সেনওয়ারি ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

মাশরাফি বিন মুর্তজার করা প্রথম ওভারের শেষ বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জাভেদ আহমাদি (১)।

রুবেল হোসেন পরের ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আফসার জাজাইকে (১)।

মাশরাফির দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে স্লিপে মাহমুদুল্লাহকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন আসগর স্তানিকজাই (১)।

মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের অর্ধশতকে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ২৬৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।

বুধবার ক্যানবেরার ম্যানুকা ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শেষ বলে ২৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

শুরুতে ভীষণ সতর্ক ছিলেন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক। দেখে শুনে খেলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

এক রান নেয়ার ক্ষেত্রে এই ব্যাটসম্যানের বোঝাপড়ার অভাব ছিল। তাই রান নেয়া সম্ভব ছিল এমন কিছু এক রান নিতে পারেননি তারা।

মিরওয়াইস আশরাফলের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক আফসার জাজাইয়ের গ্লাভসবন্দি হয়ে তামিমের বিদায়ে ভাঙে ১৪.৩ ওভার স্থায়ী জুটি।

আশরাফের পরের ওভারেই বিদায় নেন এনামুল। এলবিডব্লিউ হয়ে যান এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। রিভিউ নেন তিনি কিন্তু তাতে সিদ্ধান্ত বদলায়নি।

দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। তৃতীয় উইকেটে এই দুই জনে গড়েন ৫০ রানের জুটি।

ষোড়শ ওভারে ৫০ রানে পৌঁছানো বাংলাদেশের ১০০ রান হয় ২৫তম ওভারের শেষ বলে।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে সৌম্যকে এলবিডব্লিউর ফাদে ফেলে ৯.১ ওভার স্থায়ী তৃতীয় উইকেট জুটি ভঙেন শাপুর জাদরান।

আগের তিন ব্যাটসম্যানের মতো থিতু হয়ে আউট হন মাহমুদুল্লাহও। শাপুরের বলে জাজাইয়ের গ্লাভসবন্দি হন তিনি।

৩০তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদুল্লাহ বিদায় নেয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১১৯ রান।

নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বাধেন মুশফিকুর রহিম। তিনি রানের গতি বাড়াতে থাকলে একটু দেখেশুনে খেলা শুরু করেন সাকিব।

ব্যাটিং পাওয়ার প্লের আগে থিতু হয়ে যান দুই ব্যাটসম্যানই। ৩৫তম ওভার শেষে সাকিবের রান ছিল ২২ বলে ১৮ আর মুশফিকের ২০ বলে ২০। এই দুই জনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে অর্থাৎ ৩৬ থেকে ৪০ এই পাঁচ ওভারে ৪৮ রান যোগ করে বাংলাদেশ।

হামিদ হাসানের স্লোয়ার বলে ব্যাটের কানায় লেগে সাকিব বোল্ড হলে ভাঙে ১১৪ রানের চমৎকার জুটি। ১৫.৩ ওভার বা ৯৩ বলে এই রান করেন সাকিব-মুশফিক।

সাকিব, মুশফিকের জুটিই বাংলাদেশের সফলতম; এনিয়ে চার বার শতরানের জুটি গড়লেন এই দুই জনে।

৬৩ রান করা সাকিবের ৫১ বলের ইনিংসটি ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় গড়া। এই ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রানের পৌঁছানোর কৃতিত্ব দেখান সাকিব।

এক সময়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৩৩ রান। এরপর মাত্র ৩৪ রান যোগ করতে শেষ ৬ উইকেট হারায় তারা।

সাকিবের বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের গতিতে ভাটা পড়ে। সাব্বির রহমানের দ্রুত বিদায় অস্বস্তি আরো বাড়ায়।

মোহাম্মদ নবির ফুলটস ঠিকভাবে খেলতে না পেরে সামিউল্লাহ সেনওয়ারির হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় মুশফিকের চমৎকার ইনিংসটি। ৭১ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ৫৬ বলের ইনিংসটি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা সমৃদ্ধ।

শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারানোয় সংগ্রহ আরো বড় হয়নি বাংলাদেশের। আফতাব আলমের করা শেষ ওভারে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। শেষ বলে তাসকিন আহমেদ বোল্ড হলে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের শাপুর, আশরাফ, আফতাব ও হাসান দুটি করে উইকেট নেন।

One thought on “শুরুতে ভয়ঙ্কর মাশরাফি, রুবেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *