জর্ডান ও মিশরের পর এবার আইএস অবস্থানে বিমান হামলার ধারাবাহিকতায় যুক্ত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আমিরাতের এফ-১৬ জঙ্গি বিমানগুলো জেহাদি সংগঠন আইএসআইএল নিয়ন্ত্রিত তেল শোধনাগারগুলোর ওপর আঘাত হেনেছে। আইএসের অর্থনৈতিক উৎসকে ধ্বংস করে দেয়ার লক্ষ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে। খবরে আরো বলা হয়েছে, জর্দানে মোতায়েন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জঙ্গি বিমানগুলো অভিযান শেষে নিরাপদে ফিরে এসেছে। অবশ্য এ অভিযানের লক্ষ্যবস্তু বা স্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য খবরে উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে চলতি মাসের প্রথমদিকে, একই রকমের অভিযান চালানো হয়েছিল।
অপর খবরে বলা হয়, লিবিয়ায় গত সোমবার আইএসের (ইসলামিক স্টেট) অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো মিশরীয় বিমান হামলায় তিন শিশুসহ অন্তত ৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আইএস সংশ্লিষ্ট একটি লিবীয় সংগঠন রবিবার ২১ মিশরীয় খ্রিস্টানের শিরñেদের ভিডিও প্রকাশ করার পর মিসর ওই হামলা চালায়। লিবিয়ার উপকূলীয় দের্না শহরে চালানো বিমান হামলায় বেসামরিক লোক নিহত ছাড়াও আবাসিক এলাকার বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করা ছবিতে বাড়িঘর ধ্বংসের চিত্র দেখা গেছে।
লিবিয়ার ভূখ-ে মিশরের চালানো এ হামলার কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির স্বীকৃত সরকারের প্রধান ওমর আল-হাসি। তিনি এ হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকা- ও অন্যায় আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হাসি বলেন, ‘মিশরীয় সেনাবাহিনীর এ বর্বর হামলা ও সন্ত্রাসবাদ লিবিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। এটা স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের লঙ্ঘন।’
এর আগে মিসর সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতির মাধ্যমে লিবীয় উপকূলে বিমান হামলার কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা ও বিমানগুলোর নিরাপদে মিশরে ফিরে আসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে লিবিয়ায় হামলা চালানোর পর পরই মিশরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও ভবনগুলোর নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
আইএসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গেও ফোনালাপ করেছেন সিসি। উভয় দেশ ইস্যুটি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ওই আলোচনার পর ফ্রান্সের সঙ্গে ৫৮০ কোটি ইউএস ডলারের অস্ত্র কেনার চুক্তির কথা জানিয়েছে মিশর। চুক্তি অনুয়ায়ী, অন্যান্য অস্ত্রের মধ্যে ২৪টি রাফালে যুদ্ধবিমান, একটি মাল্টি-মিশন নৌ-রণতরী ও বিমানবিধ্বংসী মিসাইল রয়েছে। আল জাজিরা
আতিক/প্রবাস