ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় যেকোনো দিন প্রকাশ করা হবে। রায় প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে আসামি পক্ষ রিভিউ করার সুযোগ পাবেন। এরপর আসবে রায় কার্যকরের প্রশ্ন।
গত ৩ নভেম্বর বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ কামারুজ্জামানের আপিলের চূড়ান্ত রায় দেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় বহাল রাখা হয়েছে বলে সংক্ষিপ্ত রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ে বলা হয়, ৩ নম্বর অভিযোগে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে।
এর মধ্যে তিন বিচারপতি আগেই রায় লিখে জমা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের কাছে। কিন্তু ওয়াহাব মিয়া এতোদিন জমা দেননি রায়। সম্প্রতি তিনিও তা জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তাহলে কবে প্রকাশ হচ্ছে এই রায়? আদালত সূত্র জানিয়েছে, তা হবে যে কোনো সময়। জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তবে কবে এটি প্রকাশ করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। আশা করি দ্রুত এটি প্রকাশ হবে।’
আপিল বিভাগের চার বিচারপতির মধ্যে তিনজনই কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ দেন। তবে বিচারপতি ওয়াহাব মিয়া কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
২০১৩ সালের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আল বদর বাহিনীর ময়মনসিংহ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলেও প্রমাণ হয় রায়ে। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলাকালে ব্যাপক নৃশংসতার অভিযোগ আছে। বুদ্ধিজীবী হত্যায়ও মূল দায়ী করা হয় আলবদর বাহিনীকে। জামায়াতের সে সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতা-কর্মীরাই ছিলেন এই বাহিনীর নেতৃত্বে।
মানিক মিয়া liked this on Facebook.
Manzur Ahmed liked this on Facebook.
Abdur Razzak Rana liked this on Facebook.